২০১৩ সালে কেদারনাথের দুর্যোগে নিখোঁজ চার ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার হল রবিবার। কেদারনাথ অঞ্চলের গরুড় চটি ও গৌ মুখড়ার মধ্যবর্তী জায়গা থেকে কঙ্কালগুলি উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কেদারনাথের দুর্যোগের পরে এ পর্যন্ত মোট ৬৯৯টি দেহ, কঙ্কাল ও দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। এর ধ্যে ২০১৩ সালে উদ্ধার হয় ৫৪৫টি, ২০১৪ সালে ৬৩টি, ২০১৫ সালে ৩টি, ২০১৬ সালে ৬০টি, ২০১৭ সালে ৭টি এবং ২০১৮ সালে ২১টি দেহ, কঙ্কাল ও দেহাবশেষ। এ দিনের চারটি কঙ্কাল যুক্ত হয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৭০৩টি।
এ দিন উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার এসপি নবনীত সিং ভুল্লার জানিয়েছেন, ‘আমাদের সঙ্গী স্বাস্থ্য আধিকারিকরা কঙ্কালগুলির ডিএনএ সংগ্রহ করেছেন। সন্ধ্যেয় কঙ্কালগুলি অন্ত্যেষ্টির জন্য শোনপ্রয়াগে আনা হয়েছে। সংগৃহীত ডিএনএ নমুনা কাজে লাগিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিয়ে নিহতদের শনাক্ত করা হবে।’
ভুল্লার আরও জানান, ‘গত পাঁচ দিনে ১০টি দল তল্লাশি অভিযানে শামিল হয়েছিল। এই চারটি কঙ্কাল-সহ মোট ৭০৩ জন নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেল।’
উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টের নির্দেশে গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে তৈরি ১০টি দল কেদারনাথ অঞ্চলে দুর্যোগে নিরুদ্দিষ্টদের খোঁজে তল্লাশি অভিযানে নামে। ২০১৩ সালে ভয়াবহ বন্যায় কেদারনাথ অঞ্চলে মোট ৩,০৭৫ জনের মৃত্যু হলেও সব দেহাবশেষ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
২০১৪ সালে কেদারনাথের বন্যায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের দেহাবশেষ উদ্ধারের জন্য রাজ্য কর্তৃপক্ষকে জরুরি পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে উত্তরাখণ্ড বহাই কোর্টে আবেদন জানান দিল্লির সমাজকর্মী অজয় গৌতম। তার জেরে হাই কোর্টের নির্দেশ অনুসারে গত অগস্ট মাসে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে উত্তরাখণ্ড সরকার। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন রাজ্য পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ইন্সপেক্টর জেনারেল।