সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের টিকিটে লড়েছিলেন রাজ্যসভার একাধিক সদস্য। তাঁদের মধ্যে জিতেও গিয়েছেন চারজন। এর জেরে এবার সেই পদগুলি শূণ্য হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই পদে এবার প্রতিনিধি পাঠাতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে।
২০১৭ সালে মানস ভুঁইয়াকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল তৃণমূল। তবে তিনি এবার বিধানসভায় লড়তে নেমেছিলেন। জিতেও গিয়েছেন তিনি। এমনকী মন্ত্রীও হয়ে গিয়েছে মানস ভুঁইয়া। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর জায়গায় রাজ্যসভায় একটি পদ শূণ্য হয়েছে বাংলার জন্য। সেরকমভাবেই এআইএডিএমকের আর বৈথিলিঅঙ্গম তামিলনাড়ুর অরাথান্ডু আসন থেকে জিতে গিয়েছেন। তামিলনাড়ু বিধানসভার বিরোধী আসনে বসবেন তিনি। তবে রাজ্যসভায় তাঁর জায়গাটিও আপাতত শূণ্য। সেই একই দলের কেপি মুনাস্বামীও সংসদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তিনিও এবার তামিলনাড়ু বিধানসভার সদস্য। অন্যদিকে রাজ্য সভার অপর সাংসদ বিশ্বজিৎ দয়ামারিও এবার অসম বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছেন। তিনি এবার স্পিকারও হতে পারেন। সেই নিরিখে শূণ্য হয়েছে তাঁর আসনটিও।
অন্যদিকে রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য স্বপন দাসগুপ্ত এবার বাংলার তারকেশ্বর আসন থেকে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগে তিনি রাজ্যসভার আসন থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। সূত্রের খবর এমনটাই। সেক্ষেত্রে স্বপন দাসগুপ্তের পদে দেশের রাষ্ট্রপতি হয় তাঁকেই ফের মনোনীত করার অনুমতি দিতে পারেন অথবা বিশিষ্ট কাউকে ওই পদের জন্য় অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে রাজ্যসভার অন্যান্য শূণ্য আসনগুলিকে পূর্ণ করার জন্য উপনির্বাচনের প্রয়োজন। অসম, বাংলা, তামিলনাড়ু তিনরাজ্যের জন্যই উপনির্বাচন প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে এবার রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচনের জন্য কাদের পাঠানো হয় সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।