সিরিয়ায় সিমেন্ট কারখানা চালু রাখতেই হবে। আর সেই পথ মসৃণ করতে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীতে বিপুল অঙ্কের টাকা দিয়েছিল লাফার্জ। ১৮ অক্টোবর অভিযোগ স্বীকার করেছে ফরাসি সিমেন্ট সংস্থা। মার্কিন বিচার বিভাগ জানিয়েছে, এই প্রথম এমন কোনও ঘটনা প্রকাশ্যে এল।
টাকার অঙ্ক নেহাত্ কম নয়। ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১৪০ কোটি টাকা!
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় কারখানা অক্ষত রাখতে ইসলামিক স্টেট-সহ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের হাতে এই বিপুল টাকা তুলে দিয়েছিল লাফার্জ। আর সেই জন্য তাদের মোট অঙ্কের জরিমানা করেছে মার্কিন বিচার বিভাগ। জরিমানার পরিমাণ ৭৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় ৬,৪০৮ কোটি টাকা।
সংস্থা স্বীকার করেছে যে, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে সিরিয়ার সিমেন্ট কারখানা চালু রাখার জন্য এই 'মধ্যস্বত্বভোগী'দের সিংহভাগ টাকা 'তোলা' হিসাবে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই একই সময়ে গৃহযুদ্ধের প্রভাব এড়াতে বেশিরভাগ সংস্থাই সেই দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিল।
একটি ফরাসি আদালত ২০২২ সালেই এক রায়ে জানিয়েছিল যে, লাফার্জ এই বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন ছিল যে তাদের দেওয়া বেশিরভাগ টাকাই ইসলামিক স্টেটের কার্যক্রমের অর্থায়নে গিয়েছে।
সুইস সংস্থা হোলসিম গ্রুপ ২০১৫ সালে লাফার্জের অধিগ্রহণ করে। তারা জানিয়েছিল যে, মার্কিন বিচার বিভাগ এই সংস্থাকে ক্লিনচিট দিয়েছে। হোলসিম গ্রুপ এখন বলছে, তারা ২০১৬ সালেই এসে এই এত অভিযোগের সম্পর্কে জানতে পেরেছিল। এর পরেই তারা অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছিল। মার্কিন বিচার কর্তৃপক্ষকেও সহযোগিতা করেছিল হোলসিম গ্রুপ।
হোলসিম গ্রুপ স্পষ্ট জানিয়েছে যে, তাদের অধিগ্রহণের আগেই এই বিষয়গুলি হয়েছে। তাই এর সঙ্গে তারা জড়িত নেই।
প্রসঙ্গত, ভারতে আলট্রাটেক-এসিসি সিমেন্টের মালিকানা ছিল হোলসিম গ্রুপের হাতে। যদিও চলতি বছর তা অধিগ্রহণ করে নিয়েছে আদানি গোষ্ঠী।