কিছু বছর আগে থেকে এসেছে নোটা-র বিকল্প। নোটা অর্থাৎ নন অফ দ্য অ্যাবভ বিকল্প ব্যবহার করতে পারেন ভোটাররা, এটা বোঝানোর জন্য যে তাদের কোনও প্রার্থীই পছন্দ হয়নি। কিন্তু এই নোটা সর্বোচ্চ ভোট পেলেও নির্বাচন বাতিলের কোনও ব্যবস্থা নেই। এবার একটি জনস্বার্থ মামলায় এই দাবি ওঠায়, কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত।
এদিন প্রধান বিচারপতি বোবদের বেঞ্চে এই মামলাটি ওঠে। বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায় এই জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন। শুনানির পর কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনকে চার সপ্তাহের মধ্যে উত্তর দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রাথমিক ভাবে এই মামলাটি শুনতে চাইছিল না আদালত। বেঞ্চ বলে যদি এরকম অনেক আসনে হয় তাহলে তো সংসদই গঠিত হবে না। এরকম হলে সেই আসনে কোনও প্রতিনিধি থাকবে না। তাহলে সংসদ চলবে না।
তখন অশ্বিনীর আইনজীবী বলেন সুপ্রিম কোর্টও সুপারিশ করেছে যে নোটা সর্বোচ্চ ভোট পেলে নতুন করে ভোট করা উচিত। তিনি বলেন NOTA তো ৯৯ শতাংশ পেলেও নির্বাচন বৈধ থাকছে। তাহলে নোটার কোনও মানে থাকছে না। প্রত্যাখানের অধিকার থাকলে দলগুলি প্রার্থী নির্বাচনে আরও সতর্ক হবে বলে তিনি জানান। আদালত বলে যে তাদের মনে হয় না যে রাজনৈতিক দলগুলি ঠিক করে প্রার্থী নির্বাচন করতে চায় না, এমন হয় বলে। তবুও পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তারা রাজি হন।
জনস্বার্থ মামলায় দাবি করা হয়েছে যে নোটা সর্বোচ্চ ভোট পেলে যেন নতুন করে ভোট হয়। আগের ভোটে যারা প্রার্থী ছিল, তারা যেন আর দাঁড়াতে না পারে। নচেৎ কেন্দ্রের আইন পরিবর্তন করে রাইট টু রিজেকশন অর্থাৎ ভোটের সঙ্গে প্রত্যাখানের অধিকার দেওয়া উচিত বলে দাবি করা হয়েছে। এই নিয়ে কেন্দ্র কি বলে, সেটাই দেখার।