বর্তমানে শরীর ও মন সুস্থ রাখতে অনেকেই গ্রিন টি'কেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। গ্রিন টি শুধু হৃদপিণ্ডের জন্যই নয়, বরং মস্তিষ্কের জন্যও উপযোগী। একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, গ্রিন টি'তে থাকা ক্যাফিন অ্যাডিনোসিনের উৎপাদন ব্যহত করে। অ্যাডিনোসিন এমন একটি নিউরোট্রান্সমিটার যা, ব্যক্তির সুস্থ ও তরতাজা থাকার বিষয়টিকে নির্ধারিত করে। এর আধিক্যের কারণে স্নায়ুতন্ত্রের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে অ্যালজাইমারের সম্ভাবনাও দেখা দিতে পারে।
সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে যে, গ্রিন টি'তে এল-থিয়ানিন নামক এক যৌগ অত্যধিক পরিমাণে উপস্থিত থাকে। এটি স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোলের স্তর হ্রাস করতে ও ফিল-গুড হরমোন সেরোটোনিনের স্তর বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। আবার এমনও জানা গিয়েছে যে ক্যাফিন ও এল-থিয়ানিন একত্রে স্মরণশক্তি, তর্কশক্তি ও একাগ্রতা বাড়াতে পারে। কফির তুলনায় গ্রিন টি'তে ক্যাফিনের পরিমাণ কম থাকায় এটি পান করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কারও দূর হয়। এছাড়াও গ্রিন টি-র একাধিক উপযোগিতা রয়েছে।
১) রক্তচাপ কমাতে উপযোগী- একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, সপ্তাহে কমপক্ষে ছ'কাপ গ্রিন টি পান করলে রক্তচাপ বৃদ্ধির সম্ভাবনা ৩৩ শতাংশ কমতে পারে।
২) কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে- গ্রিন টি'তে ক্যাটচিন নামক এক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও প্রচুর পরিমাণে Leks। এটি কোলেস্টেরল শোষণের ক্ষমতা হ্রাস করে। তাই দিনে দু'কাপ গ্রিন টি পান করলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে যায়।
৩) হাড় ও মাংসপেশী মজবুত করে- এতে উপস্থিত ফ্ল্যাবেনয়েড হাড় ও মাংসপেশীর ক্ষরণের সমস্যা দূর করে। অন্যদিকে আবার ফাইটোএস্ট্রোজেন শরীরের টিস্যুগুলিকে নষ্ট হতে দেয় না।