বেআইনিভাবে ডমিনিকায় ঢোকার মামলায় খারিজ হয়ে গেল মেহুল চোকসির জামিনের আবেদন। এমনটাই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই। তবে আর্থিক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত চোকসির আইনজীবী বিজয় আগরওয়াল জানিয়েছেন, সেই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।
বুধবার চোকসির আইনজীবী দাবি করেন, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত চোকসিকে অপরহণ করা হয়েছিল। স্বেচ্ছায় ডমিনিকায় যাননি। ডমিনিকার পাসপোর্ট এবং অভিবাসন আইনের ছয় নম্বর ধারা অনুযায়ী, চোকসির উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না। তাই চোকসি কোনও অপরাধ করেননি এবং ডমিনিকার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে রাখতে পারে না।
দিনকয়েক ধরেই চোকসিকে নিয়ে রীতিমতো টানাপোড়েন চলছে। ডমিনিকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও ঢুকে পড়েছেন চোকসি। একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অপহরণের তত্ত্বে জোর আনা নিয়ে ডমিনিকার বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে চোকসির ভাইয়ের। পরিবর্তে নির্বাচনে অর্থ সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন পিএনবি জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্তের ভাই। যিনি নিজেও ঋণখেলাপ করেছেন। তারইমধ্যে আদালতে ডমিনিকার সরকার তরফে জানানো হয়েছে, চোকসি আদতে ভারতের নাগরিক। তাঁকে দ্রুত প্রত্যর্পণ করা হবে।
ভারত সরকারেরও দাবি, অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব নিলেও ভারতের নাগরিকত্ব ছাড়েননি চোকসি। তাই আইনত তিনি এখনও ভারতীয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিকের বক্তব্য, ২০০৯ সালের নাগরিকত্ব আইনের ২৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী নাগরিকত্ব ছাড়ার বিষয়টি একটি বিবৃতি জারি করে জানাতে হবে। তাতে অনুমোদন দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যদিও চোকসির আইনজীবীর পালটা দাবি, ভারতীয় সংবিধানের ৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী কোনও ভারতীয় যে কোনও কারণে অন্য দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানালে তিনি আর ভারতের নাগরিক থাকেন না। সেজন্য আলাদা কোনও আইনি পদ্ধতির দরকার নেই।