সোমবার পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে ভোটে জিতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হলেন ফুমিও কিশিদা। তাঁকে অভিনন্দন জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কিশিদা মতৈক্যের ভিত্তিতে চলা পছন্দ করেন। জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি কিশিডাকেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয। তারপর পার্লামেন্টে আস্থাভোট জিততে হত তাঁকে। তবে পর্লামেন্টে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তাই তার প্রধানমন্ত্রী পদে বসা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা ছিল। প্রত্যাশামতো কোনও বাধা আসেনি।
কিশিদা জাপানের একশোতম প্রধানমন্ত্রী হলেন। তিনি সুগার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। সুগা আসন্ন ভোটে দলকে নেতৃত্ব দিতে চাননি। করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সুগার জনপ্রিয়তা কমে গিয়েছিল।
কিশিদার কাছে প্রত্যাশা
নতুন প্রধানমন্ত্রীর কাছে সব চেয়ে বড় প্রত্যাশা হলো, তিনি করোনাকালে চাপের মধ্যে থাকা অর্থনীতির হাল ফেরানো। কিশিদা জানিয়েছেন, তিনি আর্থিক সংস্কারের কাজ চালিয়ে যাবেন। তিনি এই বছরের শেষে ৩০ ট্রিলিয়ন ইয়েনের বিশেষ প্যাকেজও দিতে চান। এই প্যাকেজের ফলে অর্থনীতি আবার চাঙ্গা হবে বলে তাঁর আশা। তিনি নিও-লিবারালিসম থেকে সরে নিউ জাপানি ক্যাপিটালিজমের দিকে দেশকে নিয়ে যেতে চান। কর ব্যবস্থার সংস্কার করে তিনি মানুষের হাতে আরও অর্থ তুলে দিতে চান।