কয়েকদিন আগেই একের পর এক রাজ্যে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। আর সেই পরিস্থিতিতে এবার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদের বাড়িতে বৈঠকে বসলেন জি-২৩ নেতৃত্ব। ২০২৪এর লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসকে বাঁচানোর বিশেষ পথ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, একটি বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প জোট তৈরির জন্য সমমনোভাবাপন্ন শক্তিগুলির সঙ্গে আলোচনা চালানো হোক। ভরাডুবির পরে নতুন পথের সন্ধানও করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। ১৮জন কংগ্রেস নেতা স্বাক্ষর করেছেন এই চিঠিতে। গুলাম নবি আজাদ, মণিশ তিওয়ারি, কপিল সিব্বাল, শশী থারুর, শঙ্কর সিং বাঘেলা ও রাজ বব্বর এই চিঠিতে সই করেছেন।
এদিকে ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পরে কংগ্রেসের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই একজন করে নেতাকে পাঁচ রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এআইসিসি জেনারেল সেক্রেটারি কেসি বেনুগোপালনের তরফে একটি চিঠিও সামনে এসেছে। সেখানে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে রজনী পাতিল, জয়রাম রমেশ, অজয় মাকেন, জিতেন্দ্র সিং, অবনীশ পান্ডেকে পাঁচ রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। মোটের উপর কেন পাঁচ রাজ্যে এই পরিস্থিতি তৈরি হল সেটাই খুঁজে দেখতে চাইছে কংগ্রেস।
এদিকে কংগ্রেস সভানেত্রীও সোনিয়া গান্ধী সম্প্রতি ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে জানিয়েছিলেন তিনি পদত্য়াগ করতেও রাজি। তবে সূত্রের খবর জি-২৩ নেতৃত্ব অবশ্য কংগ্রেসের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি একথাও শোনা যাচ্ছে কপিল সিব্বাল ফের বলতে শুরু করেছেন গান্ধীদের পাশে রেখে এবার অন্য় কাউকে দলের দায়িত্ব দেওয়া হোক।