জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে মুখোমুখি হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মাঝে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে দুই রাষ্ট্রপ্রধানই নাকি ‘পরমাণু হুমকি’ প্রসঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের হুমকি দিয়ে আসছে রাশিয়া। এই আবহে রাশিয়ার এই ‘হুমকি’র নিন্দা জানিয়েছেন বাইডেন এবং জিনপিং।
দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের পর এর বিবৃতি প্রকাশ করে ওয়াশিংটনের তরফে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং প্রেসিডেন্ট শি পরমাণু হুমকি প্রসঙ্গে তাঁদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা দু’জনেই বলেছেন যে পারমাণবিক যুদ্ধ কখনও করা উচিত নয় এবং তাতে কখনও কোনও যুদ্ধে জয়ী হওয়া যাবে না। ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার বা ব্যবহারের হুমকির বিরোধিতার উপর জোর দিয়েছেন দু’জনেই।’
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারিতে যখন ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল তখন পুতিন মনে করেছিলেন যে অনায়াসে তিনি এই যুদ্ধে জিতে যাবেন এবং কিয়েভ দখল করে নিতে পারবেন। তবে যুদ্ধ যত এগিয়েছে তত নিজেদের চোয়াল শক্ত করে লড়াইয়ের ঝাঁঝ বাড়িয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। এই আবহে খেরসন, খারকিভের মতো জায়গা থেকে পিছু হটতে হয়েছে রাশিয়াকে। রাশিয়ার বাহিনী এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে যে সাধারণ নাগরিককে বাহিনীতে ভর্তি করার নির্দেশিকা জারি করতে বাধ্য হয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপরই পরমাণু বোমা নিয়ে হুমকিও দিয়েছেন তিনি। রাশিয়ার তরফে এও দাবি করা হয়েছিল যে, ইউক্রেন নিজেরাই নাকি ‘ডার্টি বম্ব’ বিস্ফোরণ ঘটাবে নিজেদের দেশে। যদিও ইউক্রেন পালটা দাবি করে, মিথ্যে প্রচার করে পারমাণিক হামলার জমি তৈরি করছে রাশিয়া। এই নিয়ে বিগত বেশ কয়ে সপ্তাহ ধরেই উত্তপ্ত বিশ্ব রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে জি২০ সম্মেলনে রাশিয়ার এই পারমাণবিক হুমকি প্রসঙ্গে আলোচনা হবে। তার আগে আমেরিকা ও রাশিয়া জানিয়ে দিল, এই ইস্যুতে তারা দু’জনেই সহমত পোষণ করে।