আজ জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন। প্রথম দিনে ইউক্রেন কাঁটা দূরে সরিয়ে গৃহীত হয়েছে নয়াদিল্লি ঘোষণা পত্র। সঙ্গে সৌদি ও ইউরোপের সঙ্গে মিলে বাণিজ্যিক করিডোরের চুক্তি ঘোষণা করেছে ভারত। রাতে নৈশভোজে অংশ নেন বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতা এবং তাঁদের স্ত্রীরা। এই আবহে শীর্ষ সম্মেলনের আজ দ্বিতীয় এবং অন্তিম দিন। জি২০ সম্মেলনের যাবতীয় লাইভ আপডেট জানতে চোখ রাখুন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার ব্লগে।
ভারতের থেকে সভাপতিত্বের দায়িত্ব কাঁধে নিল ব্রাজিল
ভারতের হাত থেকে জি২০-র সভাপতিত্বর ব্যাটন হাতে পেল ব্রাজিল। আগামী বছর ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হবে জি২০র যাবতীয় বৈঠক ও শীর্ষ সম্মেলন। পরে ২০২৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়ার কথা জি২০ সম্মেলন। পরে ২০২৬ সালে পূর্ণচক্র ঘুরে ফের আমেরিকায় বসার কথা জি২০-র আসর। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে আমেরিকাতেই বসেছিল প্রথম জি২০-র বৈঠক।
‘ভবিষ্যৎ হবে ডিজিটাল’
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন বলেন, ‘একটা জিনিস পরিষ্কার মনে হচ্ছে- ভবিষ্যৎ হবে ডিজিটাল। আজ আমি AI এবং ডিজিটাল পরিকাঠামোতে ফোকাস করতে চাই। AI-এর ঝুঁকি রয়েছে। তবে এটি দুর্দান্ত সুযোগও নিয়ে এসেছে আমাদের সামনে। এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটা হল, কীভাবে দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়।’
দিল্লি ছেড়ে ভিয়েতনামের উদ্দেশে যাত্রা বাইডেনের
দিল্লি ছেড়ে ভিয়েতনামের উদ্দেশে রওনা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এদিকে আজকে একাধিক রাষ্ট্রনেতাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার কথা দিল্লিতে।
দিল্লি ঘোষণাপত্রের সমালোচনায় ইউক্রেন
ইউক্রেন যুদ্ধের উল্লেখ রেখেই নয়াদিল্লি ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত খসড়া তৈরি হয়েছে। সেই ঘোষণাপত্র গ্রহণ করেছ রাশিয়া, চিন সহ সব সদস্য দেশ। এটিকে ভারতের কূটনৈতিক জয় হিসেবে দেছেন অনেকেই। তবে এই ঘোষণাপত্রের সমালোচনা মুখর হয়েছে ইউক্রেন। যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে 'দায়ী' না করায় সরব হয়েছে যুদ্ধবিদ্ধস্ত পূর্ব ইউরোপের দেশটি।
মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন মোদী-বাইডেন-ঋষিদের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকারি দলের প্রধান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানান এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
একে একে রাজঘাটে পৌঁছাচ্ছেন রাষ্ট্রনেতারা
একে একে রাজঘাটে এসে পৌঁছেছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো, রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলৎজ, ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মিশেল, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও, চিনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংরা। মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতেই সেখানে রাষ্ট্রনেতা এবং প্রতিনিধিরা। তাঁদের সকলকে ব্যক্তিগত ভাবে স্বাগত জানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
UN, বিশ্বব্যাঙ্ক, WHO-র প্রধানরা রাজঘাটে
রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ডিজি টেড্রোস আধানম দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পৌঁছেছেন।
রাজঘাটে মহাত্ম গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানাতে গেলেন ADB, IMF কর্তারা
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া, আইএমএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এবং অন্যান্য নেতা ও প্রতিনিধিরা দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে আসেন।
দিল্লির অক্ষরধাম মন্দিরে ঋষি
আজ সকাল সকাল দিল্লির অক্ষরধাম মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনায় যোগ দিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। তাঁর আগমনের আগেই অক্ষরধাম মন্দির চত্বর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ থাকার পর তিনি নিজের হোটেলে ফিরে যান।
সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতায় জি২০
সন্ত্রাসবাদের তীব্র বিরোধিতা করেছে জি২০, জানালেন বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর। তিনি বলেন, ‘জি২০ এমন একটি মঞ্চ নয়, যেখানে ভূ-আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের আর্থিক মদতের তীব্র নিন্দা করেছেন রাষ্ট্রনেতারা।’
‘G20-র ইতিহাসে সবথেকে উচ্চাভিলাষী সভাপতিত্ব করল ভারত’
সর্বসম্মতিক্রমে দিল্লি ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়েছে। এই আবহে জি২০ শেরপা অমিতাভ কন্ত দাবি করলেন, জি২০-র ইতিহাসে সবথেকে উচ্চাভিলাষী সভাপতিত্ব করল ভারত। তিনি দাবি করেন, জি২০-র ইতিহাসে কোনও ঘোষণাপত্রে কখনও ১০০ শতাংশ ঐক্যমত তৈরি হয়নি। জি২০ শেরপা অমিতাভ কন্ত দাবি করেছেন, ভারতের সভাপতিত্বে ঐতিহাসিক সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্বিগুণ কাজ হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। দিল্লি জি২০-র ঘোষণাপত্রে মোট ৮৩টি অনুচ্ছেদ আছে। প্রতিটি অনুচ্ছেদে ১০০ শতাংশ ঐক্যমত আছে।