‘‌আপনি একবার কলকাতায় আসুন’‌, শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানালেন মমতা

সবাই সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন। তাছাড়া এই জি–২০ সম্মেলনের পরই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরে যাওয়ার কথা। এই নৈশভোজের টেবিলে শেখ হাসিনা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ। চাণক্যপুরির বঙ্গভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ রাঘব চাড্ডা।

জি–২০ শীর্ষ সম্মেলনে হাসিনা–মমতার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এবার সেটাই রূপ নিল বাস্তবে। কথাও হল দু’‌জনের মধ্যে। একে অপরকে আমন্ত্রণ জানালেন। এমন সৌজন্যের দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিদেশের রাষ্ট্রনায়করা। আর এভাবেই রাষ্ট্রপতির নৈশভোজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানে তিস্তা জলবন্টন চুক্তি নিয়ে কোনও কথা হয়নি। সেই কথা কোথায় হবে?‌ সেটা এখনও স্থির হয়নি। তবে সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর। তবে সেখানেও তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলতে পরামর্শ দিয়েছেন।

এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানে ভারত মণ্ডপমে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নৈশভোজে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল। এই নৈশভোজের আমন্ত্রণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এই নৈশভোজে যাওয়ার জন্য সংসদ ভবন থেকে ভলভো বাসে করে প্রগতি ময়দানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সকলকে। ওই বাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর–সহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন বলে সূত্রের খবর। রাতে আবার একইভাবে বাসে করে ফেরেন সকলে। এই যাত্রাপথে অনেকের সঙ্গেই কথা হয় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। তবে কোনও বিশেষ আলোচনা নয়। সৌজন্য বিনিময়।

অন্যদিকে ভারত মণ্ডপমের নৈশভোজে পৌঁছতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর হাত দেখিয়ে এগিয়ে দেন নৈশভোজের টেবিলের দিকে। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একে অপরকে দেখে একগাল হাসিতে সৌজন্য বিনিময় হয়। আর তখনই শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌সময় পেলে একবার কলকাতায় আসুন। অনেক কথা হবে।’‌ পাল্টা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও শেখ হাসিনা বলেন, ‘‌আপনিও একবার ঢাকায় আসুন। খুব ভাল লাগবে।’‌

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এমন সৌজন্য দেখে সবাই সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন। তাছাড়া এই জি–২০ সম্মেলনের পরই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরে যাওয়ার কথা। তার আগে এই নৈশভোজের টেবিলে শেখ হাসিনা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ। এদিন চাণক্যপুরির বঙ্গভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ রাঘব চাড্ডা। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে পরিণীতি চোপড়ার সঙ্গে বিয়ের প্রীতিভোজ দেবেন রাঘব চাড্ডা। সেখানে উপস্থিত থাকার জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করেন তিনি। আজ, রবিবার নয়াদিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।