রেজাউল এইচ লস্কর
জি-২০ সম্মেলনের মাধ্যমে ভারতের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। তবে সেই সঙ্গেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অবশ্যই রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পাশে থাকার ক্ষেত্রে এখনও দৃঢ় মনোভাব দেখিয়েছে। ইউরোপিয়ান কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল শুক্রবার একথা জানিয়েছেন।
মাইকেল একেবারে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনকে যেভাবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সমর্থন করছে সেটা থেকে সরে আসার কোনও ব্যাপার নেই। এই আগ্রাসনের জন্য় তারা রাশিয়ার উপর জরিমানাও আরোপ করেছে। আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে জি-২০ সামিট। তার আগে মুখ খুলেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।
একটা সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, আমি এটা জানি না, এটা সম্ভব কি না যে, চূড়ান্ত যে সিদ্ধান্ত হবে তার উপর একটা চুক্তি করে নেওয়া। এটা আমরা দেখব। আমরা আমাদের নীতির পাশে থাকব। তবে ভারত যে প্রচেষ্টা নিয়েছে তার পাশে আমরা রয়েছি। ইউক্রেন সংকটের ব্যাপারে বলতে গিয়ে তিনি একথা জানিয়েছেন।
সেই সঙ্গেই মাইকেল বলেন, কোনও কড়া বিবৃতি দিতে চাই না। ইন্ডিয়ান প্রেসিডেন্সি যাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে তার সুযোগ দেওয়া দরকার।
এদিকে ভারতের পক্ষ থেকে বার বার আবেদন করা হয়েছে রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাত বন্ধ হোক। আলোচনার মাধ্যমে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে যাতে একটা দিশা পাওয়া যায় সেটা দেখা হোক। তবে ভারত কোনওদিন সকলের সামনে রাশিয়ার অবস্থানের সমালোচনা করেনি। তবে যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে রয়েছে ভারত। তবে রাশিয়া ভারতকে শক্তি সম্পদ ও সামরিক যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে। এটাও জেনে রাখা ভালো।
মাইকেল জানিয়েছেন, রাশিয়া আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র থেকে নিজেকে ক্রমশ আলাদা করে নিচ্ছে। আসলে যবে থেকে তারা ইউএন চার্টারকে ভঙ্গ করা শুরু করে তবে থেকেই তাদের এই মনোভাব। তারাই আবার নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য।
মাইকেল জানিয়েছেন, রাশিয়ার এই ব্যবহার নিয়ে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে এই জি২০ মিটিং কাজে দেবে। কারণ তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। কৃষ্ণ সাগরকে একেবারে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছে।এমনকী উন্নয়নশীল দেশের দিকে ফুড মিসাইল ছুঁড়ছে রাশিয়া। এটাও বলা যায়। দাবি মাইকেলের।
তিনি বলেন, প্রায় ২৫০ মিলিয়ন মানুষ গোটা বিশ্বজুড়ে খাবারের সংকটে পড়েছেন। রাশিয়া তাঁদেরকে প্রয়োজনীয় খাদ্য় শস্য দেওয়া থেকে বঞ্চিত করছে। সেই সঙ্গে চিনের সঙ্গে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের জটিল সম্পর্ক নিয়েও তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের চিনকে উৎসাহ দেওয়া দরকার যাতে তারা আন্তর্জাতিক স্তরে একটা ইতিবাচক মনোভাব নেয়। ইউএন চার্টারকে মান্যতা দেয়, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে মান্যতা দেয়।