তুমুল অস্থিরতা তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে। পঞ্জাব ও গোয়ার পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না কংগ্রেস নেতৃত্ব। এসবের মধ্যেই এবার মুখ খুলতে শুরু করেছেন একাধিক কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রবীন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির মিটিং ডেকে গোয়া ও পঞ্জাব পরিস্থিতি আলোচনা করার জন্য সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছেন। অপর কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল খোলাখুলি আলোচনার পক্ষে মুখ খুলেছেন। মূলত G23 গ্রুপের নেতারারাই সরব হতে শুরু করেছেন। সিব্বল স্পষ্টতই জানিয়েছেন আমি জি ২৩ মানে আমরা জী হুজুর ২৩ নই।
কপিল সিব্বল বলেন, আমাদের একজন সভাপতি নেই। কারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন? আমাদের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং ডেকে সিদ্ধান্তে আসা দরকার। ইউপিএ জমানার মন্ত্রী মনীশ তিওয়ারি বলেন, পঞ্জাবের পরিস্থিতিটা ঠিকঠাক করে নজর দেওয়া হয়নি। ওই রাজ্যের স্থিতাবস্থা দরকার। অমরিন্দর সিং ঠিকই বলেছিলেন। পঞ্জাবে স্থিতাবস্থা প্রয়োজন সেটাই সেখানকার নেতারা বুঝতে পারেননি। এদিকে G23 গ্রুপের অপর নেতা গুলাম নবি আজাদও সোনিয়াকে চিঠি দিয়ে দ্রুত ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং ডাকার অনুরোধ করেছেন। পঞ্জাব আর গোয়ার ঘটনা নির্বাচনের নিরিখে হতাশাজনক বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। কপিল সিব্বল বলেন, আমরা পঞ্জাবের ইতিহাস জানি। পঞ্জাবে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে পাকিস্তান ও আইএসআইয়ের কাছে সুবিধা হবে। কংগ্রেসকে নিশ্চিত থাকতে হবে যে তারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।