শহর এবং মহাসড়কগুলিতে গতির ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করার বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলিকে ভাবনাচিন্তা করতে বলল কেন্দ্রীয় , সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক। ট্রান্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের বার্ষিক সভার কার্যবিবরণী অনুসারে, নির্বিঘ্ন ট্র্যাফিক চলাচলের জন্য সর্বোচ্চ গতির সীমা বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেছে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, ট্রান্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের ৪১তম বার্ষিক সভা গতমাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। সেখানেই রাজ্য সরকারগুলিকে গাড়ি চলাচলের গতির ঊর্ধ্বসীমা পুনর্বিবেচনা করতে বলে কেন্দ্র।
এদিকে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে নয়া মোটর ভেহিকেল আইন বাস্তবায়ন হলে তা সারা দেশকে আরও গতিশীল করে তুলবে বলে আশা ব্যক্ত করেন কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ি। পাশাপাশি তাঁর আরও আশা, ড্রাইভার এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া অনলাইন পরিষেবার পরিসর বাড়বে। যার ফলে ব্যবসা করা আরও সহজ হয়ে উঠবে।
সম্প্রতি, নিতিন গডকড়ি বলেন যে তিনি মনে করেন এক্সপ্রেসওয়েতে সর্বোচ্চ গতিসীমা ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হওয়া উচিত। গডকড়ি আরও বলেন যে চার লেনের জাতীয় মহাসড়কে গতিসীমা কমপক্ষে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হওয়া উচিত। তাছাড়া তাঁর মতে, দুই লেনের রাস্তা এবং শহরের রাস্তাগুলির জন্য সংশ্লিষ্ট গতিসীমা পর্যায়ক্রমে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার এবং ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার হওয়া উচিত।
এদিকে ট্রান্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল জানিয়েছে যে গতমাসের সভায় ২৪টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গাড়ির নিবন্ধনের জন্য নতুন ভারত সিরিজ (বিএইচ-সিরিজ) চালু করেছে। এর আগে গত বছর অগস্টেই কেন্দ্রীয় সরকার একটি নতুন যানবাহন নিবন্ধন ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল যে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে বাসস্থান বদল করলে যানবাহনের মালিকদের পুনরায় নিবন্ধন প্রক্রিয়ার ঝক্কি থেকে রেহাই দেওয়া হবে নতুন নিয়মে।