দিঘা, পুরী, দার্জিলিং। বাঙালির তো এখন জলভাত। তবে ভ্রমণপ্রিয়রা নিত্য নতুন খুঁজে বেড়ান নতুন বেড়ানোর ঠিকানা। কোথায় নতুন বেড়ানোর ঠিকানা, কোথায় যাওয়া হয়নি এখনও, অফবিট জায়গা। সেক্ষেত্রে এবার লাদাখের গালোয়ান উপত্যকা হচ্ছে পর্যটকদের নতুন ঠিকানা। ২০২৫ সালের জুন মাস থেকে এই উপত্যকা পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে। এদিকে ২০২০ সালের জুন মাসে এই উপত্যকাতেই ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্য়ে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
ভারতীয় সেনা ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। কর্তৃপক্ষ এই এলাকায় পরিকাঠামো বৃদ্ধি করতে পারে। গালোয়ান উপত্যকা পর্যটকদের জন্য় খুলে দেওয়ার আগে এখানকার সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত ১৫ জানুয়ারি আর্মি ডে-তে নতুন এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এখানে পর্যটনের প্রসার হলে স্থানীয়দের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতিরও উন্নতি হতে পারে।
এখানে ওয়ার মেমোরিয়ালের মাধ্য়মে শহিদ সেনাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। পাশাপাশি ওয়াইল্ড লাইফ ও কালচারাল ট্যুরিজমের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে।
লাদাখের হেরিটেজ,আঞ্চলিক উন্নয়ন, বাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা সব দিকগুলিকে তুলে ধরা হবে। গত ১৯ জানুয়ারি অল লাদাখ ট্যুর অপারেটরস অ্য়াসোসিয়েশন, ট্যাক্সি ইউনিয়ন, টেম্পো ইউনিয়ন, বাইক ইউনিয়ন, ALGHA ট্যুরিজম গালোয়ান এলাকায় পর্যটনের নানা দিক খতিয়ে দেখেছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ALTOA প্রতিনিধি লবজাং বিসুধা জানিয়েছেন, আপাতত ডোমেস্টিক ট্যুরিস্টদের জন্য এটা খোলা হবে। প্যাংগং লেকের মতোই এটার প্রতিও পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়তে পারে।
২০২০ সালে এই গালোয়ান বার বার সংবাদ শিরোনামে এসেছিল। সেবার গালোয়ান সংঘর্ষ এখানেই হয়েছিল। দুটি প্রধান লোকেশনের মধ্যে একটি ডুরবুক থেকে ৫৬ কিমি দূরে। সেখানে কাফেটারিয়া, স্যুভেনিরের দোকান রয়েছে। সেখানে ৩০জনের মতো থাকার ব্যবস্থা করা হবে। অপরটি ডুবরুক থেকে ১২০ কিমি দূরে।
এই নয়া পর্যটনকেন্দ্র শুরু হলে ট্য়াক্সি, হোটেল, রেস্তোরাঁ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্থানীয়স্তরে উন্নতি লাভ করবে।
সেক্ষেত্রে এবার যাঁরা লাদাখ যাওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা জুনের পরে গেলে গালোয়ান পর্যটকদের জন্য খুলে গেলে সেখানে যেতে পারে। অত্যন্ত ভালো লাগবে। পাশাাপাশি এই জায়গার প্রতি আলাদা একটা আকর্ষণ আছে। মূলত দেশের প্রতি সেনাদের যে আত্মত্যাগ সেটাও অনুভব করা যাবে এই গালোয়ান উপত্যকায়।