কয়েক সপ্তাহ আগেই এক কাশির সিরাপ নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছিল। গাম্বিয়ায় ৭০ জন শিশু মৃত্যুর কারণ হিসাবে মেইডেন ফার্মাকিউটিক্যালসের তৈরি করা কাশির সিরাপকেই দায়ী করা হয়েছিল। এদিন সংবাদ সংস্থা রয়টার্স বলছে, গাম্বিয়া এখনও নিশ্চিত করেনি যে, ওই কাশির সিরাপ খেয়েই ওই শিশুদের মৃত্যু হয়েছিল বলে। ফলে গোটা ঘটনা কার্যত ফের ধোঁয়াশায়!
অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে একটি রিপোর্টে জানা যায় যে, গাম্বিয়ায় একটি কাশির ওষুধ খেয়ে প্রাথমিকবাবে ৬৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সেই কাশির ওষুধ নির্মাতা সংস্থা মেইডেন ফার্মাকাউটিক্যালস ভারতের হরিয়ানার সোনেপতের সংস্থা। সংস্থার তৈরি কাশির ওষুধ নিয়ে তখন সতর্কবার্তা দিয়েছিল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু। এদিকে, মেইডেন ফার্মাকাউটিক্যালসের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আমাদের ওষুধ দেশে ঘরোয়া বাজারে বিক্রি হয় না। আমরা কাঁচামাল সার্টিফায়েড ও নামী সংস্থা থেকে নিয়ে আসি। CDSCO অফিশিয়ালরা নমুনা গ্রহণ করেছেন, আর আমরা তার পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষায় আছি। ’ এদিকে, এই ইস্যুকে সামনে রেখে সংবাদসংস্থা রয়টার্স বলছে, গাম্বিয়া এখনও নিশ্চিত করেনি যে ওই ৭০ জন শিশুর মৃত্যু কাশির ওই সিরাপ খেয়েই হয়েছিল বলে।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, গাম্বিয়ার মেডিসিন কন্ট্রোল এজেন্সি জানিয়েছে, ওই ৭০ শিশু যারা কিডনির সমস্যায় মারা গিয়েছিল, তারা এই কাশির বিষাক্ত ওষুধের ফলেই মারা যায় কি না, তার বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত নন। এর আগে জানা গিয়েছিল, যে চারটি কাশির সিরাপ কাঠগড়ায় রয়েছে তারমধ্যে অতিরিক্ত ডাইথিলিন গ্লাইকল ও ইথিলিন গ্লাইকল রয়েছে। ফলে মেকঅফ বেবি কাফ সিরাপ, কোফোক্সমালিন বেবি কাফ সিরাপ, ম্যাগরিপ এন কোল্ড সিরাপকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। সিরাপগুলির ব্যবহার অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেয় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু। এরপর নভেম্বরের শুরুতেই গাম্বিয়ার তরফে এই নয়া বার্তা আসে।