ভারতের বাজারে মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের কোনও ওষুধ বিক্রি করা হয় না। এমনই দাবি করল সর্বভারতীয় ওষুধ বিক্রেতা সংগঠন। যে ভারতীয় সংস্থার কাফ সিরাপের খেয়ে গাম্বিয়ায় ৬৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার অল ইন্ডিয়া অর্গানাইজেশন অফ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্টের তরফে বলা হয়েছে, ‘ভারতে মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের কোনও ওষুধ বিক্রি করা হয় না। ওরা শুধু রফতানি করে থাকে। তাও ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক) তরফে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হলে আমরা তা মেনে চলব।’
কী নিয়ে বিতর্কে মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড?
বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সতর্ক করেছে যে হরিয়ানার সোনিপতের মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের তৈরি চারটি 'বিষাক্ত' এবং 'নিম্নমানের' চারটি কাফ সিরাপ খেয়ে পশ্চিম আফ্রিকার গাম্বিয়ার ৬৬ জন শিশুর মৃত্যু হতে পারে। কারণ তাতে ডায়েথিলিন গ্লাইসল এবং ইথিলিন গ্লাইসলের পরিমাণ বেশি আছে। তারপরই ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রকের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
সূত্র উদ্ধৃত করে ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের চারটি কাফ সিরাপ (Promethazine Oral Solution, Kofexmalin Baby Cough Syrup, Makoff Baby Cough Syrup এবং Magrip N Cold Syrup) খেয়ে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে কিনা, সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্য প্রদান করেনি রাষ্ট্রসংঘের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এজেন্সি। যে তথ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট সিরাপ চিহ্নিত করা যেত বা কোথায় সেই সিরাপ তৈরি করা হয়, তা নিশ্চিত করা যেত।
আরও পড়ুন: গাম্বিয়ায় ৬৬ জনের মৃত্য়ুর পর ভারতীয় সংস্থার তৈরি ৪ কাফ সিরাপ নিয়ে সতর্কতা WHO'র
তবে হাত গুটিয়ে বসে নেই ভারতের সর্বোচ্চ ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ইতিমধ্যে হরিয়ানা সরকারকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার থেকে ওই ভারতীয় সংস্থার ওষুধের তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে কী উঠে এসেছে?
ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে যে ওই চারটি ওষুধ তৈরির অনুমতি দিয়েছিল হরিয়ানার ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এক সূত্র বলেছে যে 'ওই সংস্থা সিরাপ তৈরি করে এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র গাম্বিয়ায় রফতানি করেছিল।'
সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের অন্যতম অধিকর্তা নরেশ কুমার গোয়েল বলেছেন যে 'আমরা পরিস্থিতি অনুধাবনের চেষ্টা করছি। কারণ আজ সকালেই বিষয়টি সামনে এসেছে। আমরা বিক্রেতাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি এবং ঠিক কী হয়েছিল, তা বোঝার চেষ্টা করছি। আমরা ভারতে কিছু বিক্রি করি না।'