বিগত কয়েক মাস ধরেই পশ্চিমবঙ্গে ‘টাকার পাহাড়’ শব্দবন্ধের প্রয়োগ বেড়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, আমির খানদের দৌলতে। এবার আর পাহাড় নয়, মাউন্ট এভারেস্টের খোঁজ পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। ইডির দাবি, এখনও পর্যন্ত আমির খান ৭০০ কোটিরও বেশি টাকা ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করে ঘুর পথে তা সাদা করা হয়েছে। এই গোটা জালিয়াতি চক্র চালানো হত নির্জন কেইম্যান দ্বীপ থেকে।
আমির খানের প্রায় তিনশোটি অ্যাকাউন্ট থেকে রুমেন আগরওয়ালের অ্যাকাউন্টে অন্তত সাড়ে তিনশো কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে জানতে পেড়েছে ইডি। ইডির দাবি, আমির খানের গেমিং অ্যাপের টাকা ৪৪ হাজার ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর মূল্য ৭০০ কোটি টাকারও বেশি। ক্রিপ্টোর মাধ্যমে সেই টাকা কোনও সংস্থার শেয়ারে লগ্নি করা হয়। এভাবেই কালো টাকা সাদা করা হয়।
আদালতে ইডির আইনজীবীর দাবি, আমিরের ক্রিপ্টো ওয়ালেট থেকে রুমেনের ক্রিপ্টো ওয়ালেটে টাকা পাঠানো হয়েছে। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে এই লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করা হয়। দুবাই, চিন, আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমির, রুমেনদের অ্যাকাউন্টে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন হয়েছে বলে জানান ইডির আইনজীবী।
এখনও পর্যন্ত ই–নাগেটস প্রতারণা কাণ্ডে ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ফ্রিজ করেছে ইডি। নগদ প্রায় ১৮ কোটি ছাড়াও ১২ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা মূল্যের বিটকয়েন, আমির ও তার সহযোগীর অ্যাকাউন্টে থাকা ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকাও ফ্রিজ করা হয়েছিল আর্থিক তছরূপ প্রতিরোধ আইনের আওতায়। এদিকে কলকাতা পুলিশও আমির খানের কোটি কোটি টাকা ফ্রিজ করেছে। গেমিং অ্যাপ কাণ্ডে ৩২ কোটি টাকা ফ্রিজ করেছে লালবাজার। দেশে ও বিদেশের প্রায় ১৬০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছিল এই ৩২ কোটি টাকা।