ধাবাল কুলকার্নি
৩০ জানুয়ারি ১৯৪৮ সাল।দিল্লিতে বিড়লা হাউসে সেদিন প্রার্থনাসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন মহাত্মা গান্ধী। পরপর তিনটি গুলি। লুটিয়ে পড়েছিলেন জাতির জনক। নাথুরাম গডসের ছোঁড়া সেই গুলিতে নিথর হয়ে গিয়েছিলেন মহাত্মা।
তবে সেবারই প্রথম নয়। এর আগেও বার বার গান্ধীজির উপর হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৯০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠানদের একটি গ্রুপ হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল গান্ধীজির উপর। এরপর ১৯৩৪ সালের ২৫ জুন। সনাতনী হিন্দু সমাজের প্রতিনিধিরা পুনেতে তাঁর গাড়িতে বোমা ছোঁড়ার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। কারণ দলিতদের অবস্থার উন্নতির কথা ভাবতেন তিনি। আর তারই মাসুল গুনতে হয়েছিল গান্ধীজিকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে যান গান্ধীজি। অন্য একটি গাড়িতে সেই বোমা গিয়ে লাগে। হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
৩০ জুন ১৯৪৬ সালে তিনি ট্রেনে মুম্বই থেকে পুনেতে ফিরছিলেন। সেই সময় ট্রেন বেলাইন করার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ। গান্ধীজি লিখেছিলেন, এনিয়ে সাতবার ক্ষমাশীল ভগবান মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করলেন আমায়।
পুলিশ আধিকারিক ভিডি ওয়াগলে সেই সময় ওখানে পোস্টিং ছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, সার্জেন্ট গান্ধীজিকে দেখতে পেয়েছিলেন। আকাশে দু রাউন্ড গুলিও চালিয়েছিলেন। পরে সেই সার্জেন্টের চাকরি গিয়েছিল।
আসলে এসব কথা একথা বার বার ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করত ব্রিটিশ শাসকরা। তবে শেষ পর্যন্ত নাথুরামের গুলিতেই মৃত্যুবরণ করেন মহাত্মা।