দশ দিনব্যাপী গণেশ উৎসব শুক্রবার শেষ হল। এই আবহে গতকাল প্রতিমা বিসর্জন করা হয় বহু জায়গায়। এই সময় বিভিন্ন রাজ্যে জলে ডুবে মৃত্যুর বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। গতকাল গণেশ বিসর্জনের সময় উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানায় পৃথক পাঁচটি ঘটনায় জলে ডুবে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় হরিয়ানার মহেন্দ্রগড় এবং সোনিপাত জেলায় গণেশের মূর্তি বিসর্জনের সময় ডুবে ছয়জনের মৃত্যু হয়। এদিকে উত্তরপ্রদেশেও একাধিক ঘটনায় মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মহেন্দ্রগড়ে খালে ডুবে চার যুবক এবং সোনিপাতের যমুনা নদীতে ডুবে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মহেন্দ্রগড়ে বিসর্জনের সময় যুবকরা ডুবে গেলে এনডিআরএফ-এর সহায়তায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর টুইট করে মহেন্দ্রগড় এবং সোনিপত জেলার ঘটনার প্রেক্ষিতে শোক প্রকাশ করেন। তিনি টুইট বার্তায় লেখেন, ‘আমরা সবাই এই কঠিন সময়ে মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। এনডিআরএফ দল অনেক মানুষকে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছে। তারা যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়, তার জন্য প্রার্থনা করছি আমি।’
এদিকে উত্তরপ্রদেশেরও বিভিন্ন জেলায় গণেশ বিসর্জনের সময় নয় জনের মৃত্যু হয়েছে বলা জানা গিয়েছে। উন্নাওতে তিনজন, সন্ত কবির নগরে চারজন, ললিতপুরে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। উন্নাওয়ের ঘটনায় জলে ডুবে মারা যায় দুই শিশু। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরও এক শিশু। মোট তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। দ্বিতীয় ঘটনাটি সন্ত কবির নগরের। নদীতে ডুবে ৪ শিশুর মৃত্যু হয় এখানে। পরে ডুবুরিদের সহায়তায় চার শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরে গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের সময় পুকুরে ডুবে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, যুবককে বাঁচাতে গিয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেওয়া এক মুসলিম যুবকেরও মৃত্যু হয়েছে।