হরিদ্বারের গঙ্গা নদীর জল বি–ক্যাটেগরির। এমনটাই খুঁজে পেয়েছে উত্তরাখণ্ডের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। আর তাদের দাবি, এই জল পানের পক্ষে নিরাপদ নয়। স্নানের পক্ষে উপযুক্ত। প্রত্যেক মাসে হরিদ্বারের গঙ্গা জল পরীক্ষা করা হয়। উত্তরাখণ্ডের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ তা পরীক্ষা করে থাকে। উত্তরপ্রদেশের সীমান্ত থেকে শুরু করে হরিদ্বার পর্যন্ত আটটি জায়গায় পরীক্ষা করা হয়। তখনই দেখা যায়, হরিদ্বারের গঙ্গা জল পানের পক্ষে নিরাপদ নয়। সেটা আজ, বুধবার উত্তরাখণ্ডের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে উত্তরাখণ্ড দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের (পিসিবি) আঞ্চলিক আধিকারিক রাজেন্দ্র সিংয়ের মতে, উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে এবং হরিদ্বারের আশেপাশের আটটি জায়গায় প্রতি মাসে গঙ্গার জল পরীক্ষা করা হয়। তথ্য প্রকাশ করেছে যে, হরিদ্বারে গঙ্গার জলের গুণমান বি–শ্রেণির। কারণ দ্রবণীয় বর্জ্য এবং দ্রবীভূত অক্সিজেন মান স্তরের চেয়ে বেশি। নভেম্বর মাসেই বি–শ্রেণির জল হরিদ্বার বলে জানা গিয়েছে। নদীর জল পাঁচটি ক্যাটেগরিতে বিভক্ত। এ থেকে ই। এ ক্যাটেগরির জল পান করার পক্ষে উপযুক্ত। কিন্তু বি থেকে ই ক্যাটেগরির জল পানের পক্ষে নিরাপদ নয়।
আরও পড়ুন: ফাঁকা বাড়ি–জমি থেকে বর্জ্য তুলবে কলকাতা পুরসভা, সেই খরচ যুক্ত হবে ট্যাক্সে, নয়া সিদ্ধান্ত
অন্যদিকে উত্তরাখণ্ড দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের (পিসিবি) মতে, গঙ্গায় পাওয়া কলিফর্ম ১২০ এমপিএন পর্যন্ত, যার অর্থ জল স্নানের জন্য উপযুক্ত। কিন্তু সরাসরি পান করার জন্য অনুপযুক্ত। আর অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে যে, গত পাঁচ বছরে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। তার প্রভাবই পড়েছে গঙ্গা নদীর জলে। সংবাদসংস্থা এএনআই–কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উত্তরাখণ্ডের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আঞ্চলিক অফিসার রাজেন্দ্র সিং বলেন, ‘কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জলকে পাঁচ ভাগে বিভক্ত করেছে। তার ভিত্তিতে চারটি শ্রেণির জল পানের উপযুক্ত নয়। কিন্তু স্নানের উপযুক্ত। আর হরিদ্বারের গঙ্গার জল বি ক্যাটেগরির। তাই তা স্নানের উপযুক্ত।
এছাড়া পাঁচ বছর আগে গঙ্গা নদীতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক ও অণুজীবের পরিমাণ অনেক বেশি ছিল। যার ফলে গঙ্গার জল সি–শ্রেণিতে চলে গিয়েছিল। তাই গঙ্গার জল স্নান এবং পান করার জন্য অনুপযুক্ত ছিল। এখন বি ক্যাটেগরিতে আছে। তাতে স্নান করা গেলেও পান করা যাবে না। হরিদ্বারের যেসব জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে—হারকি পৌরি, সপ্ত ঋষি, রঞ্জিতপুর এবং সুলতানপুর এলাকা। রাজেন্দ্র সিংয়ের বক্তব্য, ‘গঙ্গার জলে স্নান করলে শরীরের রোগ–ব্যাধি সেরে যেত। ক্যানসারের মতো রোগ নিরাময় হতো। কিন্তু এখন সেখানে পরিশুদ্ধতা নেই। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন প্রয়োজন।’