উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের সাংদ ও বিধায়ক সংক্রান্ত কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হলেন গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা মুখতার আনসারি। আনসারিকে বিধায়ক কৃষ্ণনন্দ রাই হত্যা মামলায় অপহরণ ও খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাঁর সাজা হয়েছে ১০ বছরের।
মুখতার আনসারিকে ১০ বছরের সাজা ছাড়াও ৫ লাখ টাকার জরিমানা করেছে কোর্ট। মুখতার ছাড়াও বিএসপি সাংসদ আফজাল আনসারির বিরুদ্ধেও রয়েছে মামলা। উল্লেখ্য, মুখতারের ভাই আফজালও খুন ও অপহরণের এই মামলায় অভিযুক্ত। আফজালের সাজা আপাতত রিজার্ভ করে রেখেছে কোর্ট।
সময়টা ২০০৫ সাল। সেদিন নিজের পৈতৃক গ্রামে এক বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান সেরে ফিরছিলেন বিজেপি সাংসজ কৃষ্ণানন্দ রাই। তাঁকে আগে থেকেই খুনের হুমকি নিয়ে সতর্ক করে রেখেছিল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। তাঁকে আগেই বলা হয়েছিল, যে কৃষ্ণানন্দ রাইকে খুন করতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও গ্যাংস্টার মুখতার আনসারির বাড়িতে ভারাটে খুনি আনা হয়েছে। এরপর উত্তর প্রদেশের বাসওয়ানিতে কৃষ্ণানন্দ রাইকে গুলি করে খুন করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় আরও ৭ জনের। মামলা ওঠে কোর্টে। অভিযুক্ত মুখতার ও আফজালকে গ্রেফতার করা হয়। সেই ঘটনার পর এপ্রিলে মুখতার দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা পাওয়ার পর মুখ খোলেন কৃষ্ণানন্দ রাইয়ের স্ত্রী। তিনি বলেন, উত্তর প্রদেশে গুণ্ডারাজ শেষ হয়েছে। তাঁর সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে বিচার ব্যবস্থায়।
উল্লেখ্য, জানুয়ারিতে ২০০১ সালের উসরি চট্টি 'গ্যাংওয়ার' ঘিরে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। এরপর ১৮ জানুয়ারি আনসারিতে বান্দার কোর্টে রাখার সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয় এলাহাবাদ কোর্ট। আনসারির বিরুদ্ধে খুন ও খুনের চেষ্টার পাঁচটি আলাদা মামলা ছিল। গাজিপুরের এসপিকে মারধর, কনস্টেবল রঘুবংশ সিংকে খুনের দায়ে আনসারি ও তাঁর শাগরেদ ভিম সিং দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এরমধ্যে জেলারকে বন্দুক উঁচিয়ে হুমকির অভিযোগও রয়েছে আনসারির বিরুদ্ধে। সব দিক থেকে পর পর মামলায় আপাতত বিপাকে মুখতার ও তাঁর ভাই আফজাল।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup