এক কুখ্যাত গ্যাংয়ের সদস্য প্রেমে পড়েছিলেন গ্যাংস্টারের স্ত্রীর। প্রেমের বাঁধন এমন শ্বাসরুদ্ধকর হবে তখন তো বোঝা যায়নি। কিন্তু এখন হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে। আসলে এক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। তারপরেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে দু'জনের প্রেমের সম্পর্ক। গ্যাং ভেঙে চুরমার, এখন প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রেমিক।
জানা গেছে, বর্তমানে নাগপুরে ইপ্পা গ্যাংয়ের ৪০ জন সদস্য শহর এবং শহরতলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের একটাই লক্ষ্য, আরশাদ টোপিকে হত্যা করা। এই আরশাদ টোপিই গ্যাং প্রধানের স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার টোপি ওই মহিলার সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর জন্য বেরিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তখনই এক দুর্ঘটনায় গ্যাং প্রধানের স্ত্রীর মৃত্যু হয়। নাগপুর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, টোপি এবং মহিলা বাইকে করে যাচ্ছিলেন। আচমকা একটি জেসিবি মেশিনের ধাক্কায় বাইকটি উল্টে যায়। আরশাদ টোপির আঘাত অল্পের ওপর দিয়ে গেলেও গুরুতর আহত হন মহিলা।
আরও পড়ুন-বড় ধাক্কা পাকিস্তানের! ২৫ বছর পর বন্ধ হল মাইক্রোসফটের অফিস
কোরাডি থার্মাল প্ল্যান্টের একটি টহলদারি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই মহিলাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা মহিলার চিকিৎসা করতেই চাননি। তারপর বাধ্য হয়ে তাঁকে কাপ্তির অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও ভর্তি নেওয়া হয়নি।এরপর টোপি অ্যাম্বুলেন্স চালককে টাকা দেওয়ার পরই মহিলাকে নাগপুরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যেখানে শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে আহত মহিলার সঙ্গে আরশাদকে হাসপাতালে ঢুকতে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-বড় ধাক্কা পাকিস্তানের! ২৫ বছর পর বন্ধ হল মাইক্রোসফটের অফিস
এদিকে, ওই মহিলার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইপ্পা গ্যাং টোপিকে বিশ্বাসঘাতক ঘোষণা করে এবং তাকে হত্যা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। এই তথ্য দিয়েছেন নাগপুরের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই গ্যাংটির বিশ্বাস যে তাদের প্রধানের স্ত্রীকে টোপি হত্যা করেছে। তিনি দুর্ঘটনায় মারা যাননি। মহিলার বিশ্বাসঘাতকতা এবং খুনের প্রতিশোধ নিতে এই চক্রের ৪০ জন সদস্য এখন টোপিকে গোটা নাগপুরজুড়ে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা জানান, 'নিজের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে বুঝতে পেরে, টোপি শুক্রবার পার্দিতে ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ডিসিপি)-এর অফিসে সুরক্ষার জন্য ছুটে যান। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে, ডিসিপি তাকে কোরাডি থানায় পাঠিয়েছেন। যেখানে তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।' পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তদন্তে জানা গিয়েছে যে ওই মহিলা একটি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। তাঁকে খুন করা হয়েছে এমন কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।