ঘর যেন গ্যাস চেম্বার। ভেতর থেকে বন্ধ ছিল দরজা। পুলিশ দরজা ভেঙে দেখে ৫০ বছর বয়সী এক মহিলা ও তার দুই মেয়ে পড়ে রয়েছে সাউথ দিল্লি ফ্ল্যাটে। তিনজনকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে সমস্ত দরজা, জানালা, ভেন্টিলেটর সব ফয়েল পেপার দিয়ে মুড়িয়ে এয়ার টাইট করে ফেলা হয়েছিল। তার মধ্যেই ছিলেন তিনজন। পুলিশে দেখে গ্যাসের সিলিন্ডারটা খোলা অবস্থায় রয়েছে। কয়লার ধিকি ধিকি আগুন জ্বলছে একটি পাত্রে। ঘরের মধ্যে কার্বন মনোক্সাইডে ভর্তি করে দেওয়া হয়। তার মধ্যেই একটি বেডরুমে পড়েছিল তিনটি দেহ। মঞ্জু শ্রীবাস্তব ও তাঁর দুই মেয়ে অংশিকা ও অঙ্কু।
আর ঘরের দেওয়ালে সাঁটা ছিল সুইসাইড নোট। ইংরাজিতে লেখা সেই সুইসাইড নোট দেখে হতবাক পুলিশ। তাতে লেখা রয়েছে। প্রচুর মারণ গ্যাস রয়েছে ঘরে।কার্বন মনোক্সাইড রয়েছে। এটি দাহ্য। দয়া করে জানালাগুলো খুলে দিন। ফ্যান চালিয়ে দিন। দেশলাই, মোমবাতি বা অন্যকিছু জ্বালাবেন না। পর্দা সরানোর আগে খুব সতর্ক হবেন। গোটা ঘর বিষাক্ত গ্যাসে ভর্তি। এখানে নিঃশ্বাস নেবেন না।
কিন্তু কেন এই ভয়াবহ পরিণতি তিনজনের? তাঁর স্বামী উমেশ চন্দ্র শ্রীবাস্তব গতবছর কোভিডে মারা গিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। ওই মহিলাও অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন। সম্ভবত তার জেরেই এই পরিকল্পনা। ওই আবাসনের প্রেসিডেন্ট এম ডেভিড বলেন, গোটা পরিবার ঘরটিকে স্মোক চেম্বার বানিয়ে ফেলেছিলেন।