একদিকে যেখানে হিজাব নিয়ে কর্ণাটকের শিক্ষা ক্ষেত্রে চরম বিতর্ক চলছে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে, সেখানেই কর্ণাটক সরকার সম্প্রতি পাঠ্যক্রমে ভগবদ গীতা অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নিয়ে স্বভাবতই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে এই দক্ষিণী রাজ্যে। এই আবহে সেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ দাবি করেন, ভগবদ গীতা কোনও ধর্মগ্রন্থ নয়। এই আবহে ‘নীতি শিক্ষা’র পাঠে গীতার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তিনি কোনও বিতর্ক দেখতে পারছেন না।
বিসি নাগেশ দাবি করেন, গীতা কোনও ধর্মগ্রন্থ নয় এবং এটি কোনও ধর্মের প্রচার করে না। তবে কোরান ধর্মের প্রচার করে এবং সেটি ধর্মগ্রন্থ। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ভগবদ গীতা শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষা দিয়ে অনুপ্রাণিত করে। তাঁর দাবি, স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় অনেককেই অনুপ্রাণিত করেছিল গীতা।
এর আগে সোমবার নাগেশ জানিয়েছিলেন যে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি রাজ্য সরকারি স্কুলে ভগবদ গীতা পড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করছে। তিনি বলেছিলেন, ‘একটি কমিটি ইতিমধ্যে এটি (পাঠ্যক্রমে গীতার অন্তর্ভুক্তি) নিয়ে কাজ করছে এবং আমাদের পরিকল্পনা, এই বছরের ডিসেম্বর থেকেই তা বাস্তবায়ন করা হবে। যদিও এটি পাঠ্যক্রমের অংশ হবে না। এবং এর উপর ভিত্তি করে কোনও পরীক্ষা নেওয়া হবে না।’ এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই নিজেই জানিয়েছিলেন যে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে গীতা পড়ানোর পরিকল্পনা করছে তাঁর সরকার।
এদিকে এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া বলেন, ‘ছাত্রদের স্কুলে ভগবগ গীতা, কোরান বা বাইবেল শেখানো যেতেই পারে কিন্তু সরকারের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত স্কুলে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করা। এটাই প্রাথমিক নীতিবাক্য হওয়া উচিত। স্কুলে নৈতিক শিক্ষা হিসেবে পবিত্র গ্রন্থ পড়ানো নিয়ে আমাদের দলের কোনও আপত্তি নেই।’