নয়াদিল্লিতে ২০২০-র শেষ দিনে প্রয়াত হলেন কর্নেল নরেন্দ্র কুমার। সেনামহলে তিনি পরিচিত ছিলেন বুল কুমার হিসেবে। সিয়াচেনে যে সময়মতো পাক আগ্রাসন থেকে ভারত জমি দখল করতে পেরেছিল, তার বড় অংশের কৃতিত্ব এই সেনা নায়কের।
চিফ অফ ডিফেন্স সার্ভিস বিপিন রাওয়াত জানান যে নরেন্দ্র কুমার তাঁর একাগ্রতা ও একনিষ্ঠ মানসিকতা ও পাহাড় চড়ার নেশায় গুরুত্বপূর্ণ চূড়ো খুঁজে পেয়েছিলেন, যার ফলে অনেকটা সুবিধা হয় ভারতের। ভারতের সেনা ইতিহাসে বুল কুমারের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে জানান রাওয়াত। তিনি বলেন সৈনিকদের মৃত্যু হয় না, তাঁরা শুধু পৃথিবী ত্যাগ করেন।
১৯৭০-র শেষ ও ১৯৮০-র শুরুতে সিয়াচেন হ্রদে বেশ কয়েকবার যান নরেন্দ্র কুমার। তাঁর রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিয়াচেন দখল করে ভারত অপারেশন মেঘদূতের মাধ্যমে। পাকিস্তান যে সেই চূড়োটি দখল করার চেষ্টা করছে, সেটা প্রথমবার জানিয়েছিলেন তিনি। ১৯৫৩ সালে কুমায়ুন রেজিমেন্টে যোগ দেন এই প্রয়াত সৈনিক। প্রথম ভারতীয় হিসেবে নন্দা দেবী পাহাড়ে ওঠেন তিনি। ১৯৬৫ সালে জয় করেন এভারেস্টের চূড়ো। এরপর আল্পস ও কাঞ্চনজঙ্ঘাও উত্তরণ করেন তিনি।
ফ্রস্টবাইটে চারটি পায়ের আঙুল হারালেও অভিযানের নেশা থামেনি এই সৈনিকের। তাঁর অসীম সাহস ও মনোভাবের জন্য় তাঁকে বুল ডাকনাম দেওয়া হয়। দিল্লির সেনা হাসপাতালে ৮৭ বছরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন ভারতের এই বীরপুত্র।