তাঁর দাদু ঠাকুমার কাছ থেকে সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হিসাবে ৪২০ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পত্তি পেয়েছেন জার্মানির এক তরুণী। তবে, এই জার্মান তরুণী মার্লিন এঙ্গেলহর্ন যিনি বর্তমানে অস্ট্রিয়ার বাসিন্দা, তিনি চাইছেন তাঁর সম্পত্তিতে বসানো হোক কর। মার্লিনের এই বক্তব্য ঘিরে ইন্টারনেটে হইচই পড়ে গিয়েছে।
মার্লিনের ঠাকুমার মৃত্যু হয়েছে গত মাসে। সেই সময় তিনি মার্লিনকে তাঁর সম্পত্তির অংশ দিয়ে যান। যার মূল্য বর্তমানে ৪২০ কোটি মার্কিন ডলার। পরিবারের বহু পুরনো রাসায়নিক কারখানার মালিকানা তিনি দেন মার্লিনকে। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৩০ বছর বয়সী মার্লিন বলছেন, ' আমার ওপর কর চাপানো হোক।' তিনি এও বলছেন যে, 'স্বপ্নের দৃষ্টিকোণ তখনই হবে যখন আমার ওপর কর বসানো হবে।' কার্যত, সমাজের অভিজাত শ্রেণির অংশ মার্লিনের এভাবে কর সংক্রান্ত সোচ্চার বার্তা অনেকেরই নজর কেড়েছে। তাঁর দাবি, ওই সম্পত্তির পরিমাণ জনসাধারণের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হোক করের মাধ্যমে। তিনি সমর্থন করছেন, উত্তরাদিকারী সূত্রে পাওয়া সম্পত্তিতে উচ্চ পর্যায়ের কর চাপানো হোক। তাঁর মতে, যে পরিমাণ অর্থের কথা বলা হচ্ছে, এখানে তাতে ওই উত্তাধিকারীর কোনও দাবি নেই। সেই অর্থ সে নিজে কষ্ট করে রোজগার করেনি, বরং উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছে। ফলে তা জনসাধারণের মধ্যে ভাগ করা হোক কর ব্যবস্থার হাত ধরে।
Viral Video: স্টান্ট দেখাতে গিয়ে মুখে ছড়িয়ে গেল আগুন! হাড়হিম করা দৃশ্য ভাইরাল
এদিকে, মার্লিন যেখানে বর্তমানে থাকেন,সেই অস্ট্রিয়ায় উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত কর অবলুপ্ত করা হয়েছে। ২০০৮ সালেই তা অবলুপ্ত করা হয়েছে। এদিকে, মার্লিন যে পরিবারের সদস্য, সেই পরিবার ১৮৬৫ সালে BASF নামের একটি রাসায়নিক কারখানা প্রতিষ্ঠা করে। সেই ব্যবসা থেকেই পরিবারের মোট সম্পত্তি ৪২০ কোটি মার্কিন ডলারের। আর সেই সম্পতিতর পুরোটাই এখন মার্লিনের নামে। যার ওপর তিনি কর চাপানোর দাবি করছেন।