আগেই সুরক্ষার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। কিন্তু একাধিক টিকাগ্রহীতার রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা আসার পরে ৬০ বছরের নীচে মানুষদের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকার করোনাভাইরাস টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ চাপাল জার্মানি। আপাতত শুধুমাত্র ষাটোর্ধ্বদের অ্যাস্ট্রোজেনেকার করোনা টিকা নেওয়ার ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছে।
জার্মানির স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং ১৬ টি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৬০ বছরের নীচেও অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা নেওয়া যেতে পারে। তবে সেজন্য প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থার বিবেচনা করতে হবে। তাঁর কী কী ঝুঁকি আছে, তা পর্যালোচনা করে দেখা হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শের ভিত্তিতেই ৬০-এর কম বয়স্করা টিকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি স্টিকো নামে একটি টিকা কমিশন পরামর্শ দিয়েছে, আপাতত হাতে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে বয়স্ক টিকাগ্রহীতাদের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা সংক্রান্ত অত্যন্ত গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। তবে তা একেবারেই বিরল বলে জানানো হয়। মঙ্গলবার একটি জার্মান দৈনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যাঁরা অ্যাস্ট্রোজেনেকার করোনা টিকা নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৩১ টি রক্ত বাঁধার ঘটনার সন্ধান পেয়েছে জার্মানির ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কম বয়স্ক এবং মাঝবয়স্ক মহিলাদের প্রভাব পড়েছে। তার জেরে চলতি সপ্তাহেই ৫৫ বছরের নীচে মহিলাদের অ্যাস্ট্রোজেনেকার করোনা টিকা নেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপায় একাধিক হাসপাতাল।
সেই পরিস্থিতিতে আগেই মিউনিখ, বার্লিন এবং কমপক্ষে একটি রাজ্যে ৬০ বছরের নীচে মানুষদের অ্যাস্ট্রোজেনেকার করোনা টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছিল। এবার ওই মানুষদের অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা দেওয়ার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জার্মানি। ইতিমধ্যে ৬০-এর নীচে যাঁরা করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের পরবর্তী ডোজের বিষয়ে এপ্রিলের শেষের দিকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জার্মানির স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ততদিন চিকিৎসকদের পরামর্শের ভিত্তিতে তাঁরা টিকা নিতে পারেন।