বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Geyser Leak Death: মেহেন্দির রঙ ওঠার আগে গিজারের গ্যাস লিক করে মৃত্যু নববধূর, নিরাপদ থাকবেন কীভাবে?

Geyser Leak Death: মেহেন্দির রঙ ওঠার আগে গিজারের গ্যাস লিক করে মৃত্যু নববধূর, নিরাপদ থাকবেন কীভাবে?

প্রতীকী ছবি

স্নান করতে গিয়েই ভয়ানক দুর্ঘটনার মুখোমুখি হলেন নববধূ। স্নান করতে গিয়ে গিজারের গ্যাস লিক করে। তারপর সেই গ্যাসেই শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। উত্তর প্রদেশের মিরাট শহরের ঘটনা।

মেহেন্দির রঙটাও ওঠেনি তখনও হাত থেকে। সদ্য বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে এসেছিলেন। আর স্নান করতে গিয়েই ভয়ানক দুর্ঘটনার মুখোমুখি হলেন নববধূ। স্নান করতে গিয়ে গিজারের গ্যাস লিক করে। তারপর সেই গ্যাসেই শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। উত্তর প্রদেশের মিরাট শহরের ঘটনা।

একাধিক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী,বাথরুমে স্নান করতে গিয়েছিলেন যুবতী। অনেকক্ষণ হয়ে যাওয়ার পরও তিনি বেরিয়ে না আসায় বাড়ির লোকজন একটু চিন্তায় পড়েন। এবং ডাকাডাকি করেও সাড়া না পাওয়ায় শেষে দরজা ভেঙে দেওয়া হয়। আর দরজা ভাঙতেই হতবাক বাড়ির লোকজন। অজ্ঞান হয়ে বাথরুমের এক কোণে মাটিতে পড়ে রয়েছেন সদ্য বিবাহিত যুবতী। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন: ধানবাদের বহুতলে বিধ্বংসী আগুন, তিন শিশু সহ ১৪ জনের মৃত্যু

গ্যাস গিজার থেকে শ্বাসকষ্ট কীভাবে শুরু হয়?

সাধারণ গ্যাস গিজার থেকে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস নিঃসৃত হয়। আর এই গ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভাল নয়। কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে কারোর শরীরে প্রবেশের কয়েক মিনিটের মধ্যে তাঁর মাথা ঘুরতে পারে এবং সংজ্ঞাও হারাতে পারেন তিনি। এক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরমার্শ নেওয়া প্রয়োজন। কোনও ঘরোয়া টোটকায় এর সুশ্রুষা সম্ভব নয়।

 

গ্যাস গিজার ব্যবহারের ঝুঁকি কী কী?

অতীতে গ্যাস গিজার ব্যবহার করলে এপিলেপটিক সিজার বা দম বন্ধ হয়ে মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটত। সেই কারণে কোনও জানালা দেওয়া বাথরুমে যেখানে ঠিকঠাক ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রয়েছে সেরকম জায়গায় স্নান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা। তবে বাথরুমে স্নানের সময় কিছু উপসর্গ দেখা দিলে তা একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। যেমন, বমি, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা।

অনেক ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, স্থায়ীভাবে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে গিজারের গ্যাস লিক থেকে। কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসের মধ্যে মোটামুটি পাঁচ মিনিট থাকলেই মাথা ঘোরা শুরু হয়ে যেতে পারে। আর বেশিক্ষণ সেইভাবে থাকলেই জ্ঞান হারিয়ে মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে।

 

গ্যাস গিজার কীভাবে নিরাপদভাবে ব্যবহার করবেন?

মাঝে মাঝেই গ্যাস গিজার চেক করুন। দেখুন সেখানে কোনও লিক হচ্ছে কি না। বাথরুমে একটি ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করা জরুরি। আর গিজার চালু রাখার সময় এক্সহস্ট ফ্যান চালিয়ে নিতে ভুলবেন না। লিক থাকলে কোনওভাবেই সেই গিজার চালাবেন না। আর আপনি যদি অনুভব করেন দমবন্ধ লাগছে বা কাশি শুরু হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বাথরুমের বাইরে আসুন।

বন্ধ করুন