গুলাম নবি আজাদ কংগ্রেস ছাড়ার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক নিয়ে তোপ দাগতে শুরু করেছিলেন গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ নেতারা। এই আবহে আজ গুলাম নবি আজাদ বিস্ফোরণ ঘটালেন মুখ খুলে। এদিন তিনি বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর সঙ্গেই আতাঁত রয়েছে বিজেপির।’ এদিকে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে মুখ খোলেন আজাদ। তিনি বলেন, ‘মনে করতাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একজন অশোভন মানুষ... তিনি বিবাহিত নন। কিন্তু তিনি মানব দেখিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, গুলাম নবি আজাদের রাজ্যসভার মেয়াদ শেষের দিন বিদায়ী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী কেঁদে দিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতারা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি আজাদকে। এই আবহে আজকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘আমি রাজ্যসভা ছেড়ে যাচ্ছি বলে মোদী কাঁদেননি। আপনারা তাঁর বক্তব্যটা শুনবেন।’ এরপর আজাদ বলেন, ‘আমি যখন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম… একটি বাসের ভিতরে একটি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়েছিল। এবং এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল। মৃতদেহগুলি টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনায় গুজরাটের বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছিলেন। সেই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মোদী। তিনি আমাকে ফোন করেন। তখন আমি কাঁদছিলাম। তিনি আমাকে কাঁদতে শুনে ফেলেছিলেন। তখন আমি তাঁর ফোন ধরতে পারিনি।’
সেই ঘটনার স্মৃতিচারণা করতে করতে আজাদ বলেন, ‘তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে আমি দুটি প্লেন দিতে বলেছিলাম। একটি বিমানে করে জখম ব্যক্তিদের নিয়ে যাওয়া হয়। অপরটি ছিল মৃতদের জন্য। পরে আমি যখন জখমদের সঙ্গে দেখা করি তখন আবারও আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে ফেলেছিলাম। টিভিতেও সেই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। সেই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী আবার আমাকে ফোন করেন।’
এরপর আজাদ বলেন, ‘মোদী একটা অজুহাত শুধুমাত্র। জি-২৩-র চিঠি লেখার পর থেকেই তাদের আমার সঙ্গে সমস্যা রয়েছে। তাঁরা কখনও চাইত না যে কেউ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে বা তাঁদের প্রশ্ন করবে। এরপর কত বৈঠক করে কংগ্রেস। তবে আমাদের পরামর্শের একটাও গ্রহণ করা হয়নি।’
এদিকে বিজেপির সঙ্গে ভোটে জোট সম্ভাবনা নিয়ে আজাদ বলেন, ‘দেখুন কংগ্রেসে অশিক্ষিত মানুষ আছে। আমার সমর্থকদের ভোটে বিজেপি লাভবান হবে না, এবং এর উল্টোটাও সত্য। যারা জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনীতি বোঝেন তারা এটা ভালো করেই জানেন।’ বিজেপির সঙ্গে ভোট পরবর্তী জোট সম্ভব কি না, এই প্রশ্নের জবাবে আজাদ বলেন, ‘দেখুন আমার একার দল তো নির্বাচনে নেই। আরও দল আছে। দেখা যাক।’