হাথরাস কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত অঞ্চলের পুলিশ সুপারকে একটি চিঠি লিখেছে। সেখানে তার দাবি যে সে নির্দোষ। মৃতা তরুণী ও সে বন্ধু ছিল বলে অভিযুক্তের দাবি মেয়েটির ভাই ও মা তাকে পিটিয়ে মেরেছে। তাদের বন্ধুত্ব মেয়েটির পরিবার মেনে নিতে পারেনি বলেই দাবি অভিযুক্তের।
এই চিঠির কথা স্বীকার করে আলিগড় জেলার সুপার অলোক সিং জানিয়েছেন যে অভিযুক্ত সন্দীপ সিং এই চিঠি লিখেছে। নিয়ম অনুযায়ী সেই চিঠি হাথরাসের পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে চিঠিতে কি লেখা আছে সেই নিয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেন অলোক সিং।
তবে এই চিঠির কপি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে সন্দীপ বলছে যে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা যে সে তরুণীকে ধর্ষণ বা হত্যা করেছে। বাকি দুই অভিযুক্ত রবি ও রামু সম্পর্কে তার কাকা হয় বলে সে জানিয়েছে।
সন্দীপের দাবি মৃতা তরুণীর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিল। মাঝে মাঝে দেখা সাক্ষাৎ হত, ফোনেও কথা হত। কিন্তু সেটা ভালো চোখে দেখত না মেয়েটির পরিবার, বলে তার দাবি। চিঠিতে চার অভিযুক্তের আঙুলের ছাপ আছে বলে জানা গিয়েছে।
সন্দীপের দাবি ১৪ সেপ্টেম্বর মেয়েটির সঙ্গে তার দেখা হয়। মা ও ভাইয়ের সঙ্গে মেয়েটি এসেছিল। এরপর সন্দীপ বাড়ি ফিরে যায় ও গোরুকে চারা দিচ্ছিল বলে দাবি। পরে সে জানতে পারে মেয়েটিকে তার মা ও ভাই প্রচন্ড মারধোর করে বলে দাবি সন্দীপের। তাদের ফাঁসানো হচ্ছে ও যথাযোগ্য তদন্তের দাবি করেছে অভিযুক্ত যুবক।
মৃতা তরুণীর বাড়ির লোক অবশ্য এই সব অভিযোগ খারিজ করেছে। তরুণীর ভাই এর কথায় একটি দলিত পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা এটি। তদন্তের গতিপ্রকৃতি বদল করে দেওয়া ও তদন্তকারী সংস্থাদের বিভ্রান্ত করার এটি প্রচেষ্টা বলে তাঁর দাবি।