এবার মেয়েদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন উত্তরপ্রদেশের মহিলা কমিশনের সদস্য মীনা কুমারী।তাঁর মতে, মেয়েদের মোবাইল ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত নয়।মোবাইল ব্যবহার করতে দিলে মেয়েরা যেতে পারে।উত্তরপ্রদেশের মহিলা কমিশনের এই সদস্যদের কথায় রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
গত বুধবার আলিগড়ে গিয়েছিলেন মহিলা কমিশনের সদস্য মীনা কুমারী।সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মহিলা কমিশনের সদস্য বলেন,‘সমাজের মহিলাদের ওপর হিংসার ঘটনা বাড়ছে।এনিয়ে সমাজকেই চিন্তা করতে হবে।এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে মোবাইল একটা সমস্যার কারণ হয়ে উঠেছে।মেয়েরা মোবাইলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলে।ছেলেদের সঙ্গে ওঠাবসা করে।ওদের মোবাইল পরীক্ষা করে দেখা হয় না।বাড়ির লোকেরা জানতেও পারেন না, কথা বলতে বলতে কোনও ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায় মেয়েরা।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘মেয়েদের মোবাইল দিলেও যেন তার ওপর নজরদারি চালানো হয়।এই ব্যাপারে মায়েদের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি।কোনও মেয়ে বিগড়ে গেলে তাঁর দায় পুরোপুরি মায়েদের।’
প্রশ্ন উঠছে, একবিংশ শতাব্দীতে যেখানে মেয়েদের স্বাধীনতার কথা বলা হচ্ছে, সব ক্ষেত্রে মহিলারা পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিজের জায়গা করে নিচ্ছে, সেখানে এই ঘটনার মন্তব্য কতটা গ্রহণযোগ্য।ইতিমধ্যে অনেকেই এই বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন।মীনা কুমারীর এই মন্তব্যের সঙ্গে একেবারেই সহমত পোষণ করেননি উত্তরপ্রদেশ মহিলা কমিশনের সহ-সভাপতি অঞ্জু চৌধুরী।তাঁর মতে, মহিলাদের ওপর অপরাধ কমাতে এটা কোনও সমাধান নয়।মেয়েদের মোবাইলে কথা বলতে না দেওয়ার কথা বলে কীভাবে অজানা ব্যক্তিদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে হয়, সেকথা শেখাতে পারতেন।মোবাইলের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষা দিতে পারতেন।
তাঁর বক্তব্যের সাফাই দিয়ে মহিলা কমিশনের ওই সদস্য জানান, তাঁর মন্তব্যের অপব্যাখ্যা হচ্ছে। গ্রামের মেয়েরা মোবাইলের ব্যবহার করতে জানেন না।মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ছেলেদের সঙ্গে বন্দুত্ব করে।তারপর পালিয়ে যায়।আজেবাজে জিনিস দেখার ক্ষেত্রেও মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়।