ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে গীতা। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গীতার নানা দিক সম্পর্কে পড়ানো হবে। তবে বাংলায় নয়, গুজরাতের স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য় এই গীতাপাঠের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গুজরাত বিধানসভায় এই ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী জিতু ভাগানি বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এই ঘোষণা করেছেন। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, 'কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতি অনুসারেই ভগবত গীতার মূল্যবোধ ও নীতিবোধকে স্কুলে পড়ানো হবে। প্রাচীন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে ছাত্রছাত্রীরা। ভারতের ঐতিহ্য় কতটা সমৃদ্ধ ছিল সেটা জেনে গর্ববোধ করবে ছাত্রছাত্রীরা। '
পরবর্তী সময়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কথা বলার সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্বাস আলাদা হতে পারে কিন্তু প্রাচীন হিন্দু পুঁথির নৈতিক মূল্যবোধকে সকলেই মান্যতা দেন। সেকারণেই স্কুলের পাঠ্যসূচির মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত গীতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাসে ‘সর্বাঙ্গীন শিক্ষণের’ মধ্যে গীতা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাসের প্রথম ভাষার পাঠক্রমে গল্প বলার ঢঙে এই গীতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, গীতার উপর নির্ভর করে প্রার্থনা, শ্লোক, নাট্য, কুইজ, আঁকা, তাৎক্ষণিক বক্তব্যের মতো বিষয়গুলি যুক্ত করা হবে। স্কুলের জন্য বই, অডিও-ভিডিও সিডি সরকারের তরফে সরবরাহ করা হবে।