গোয়া বিধানসভা ভোট আর মাত্র প্রায় এক মাস দূরে। ১৪ ফেব্রুয়ারি সমুদ্র সৈকতের এই এলাকায় ভোট যুদ্ধে নামছে দেশের তাবড় রাজনৈতিক শক্তিগুলি। ২০২১ সালে বাংলার মাটিতে সম্মুখ সমরের পর এবার গোয়ার মাটিতে বিজেপির মুখোমুখি হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পার্টির তরফে ইতিমধ্যেই পিচ প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘাসফুল শিবিরের তরফে ধীরে ধীরে স্পষ্ট করা হচ্ছে গোয়ায় দলের ভোট-অ্যাজেন্ডা। সেবিষয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন গোয়ার তৃণমূল নেতা কিরণ কান্দোলকার।
গোয়াতে পা রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস একাধিক প্রতিশ্রুতি বার্তাকে সামনে রেখে ভোট প্রচারের পারদ চড়িয়েছে। তৃণমূল জানিয়েছে, তারা গোয়াতে সরকারে এলে, সেখানে জমিহীনদের জমি দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গোয়াতে পঞ্চাশ হাজার গৃহহীন পরিবার রয়েছে। তাঁদের জমির অধিকার পাইয়ে দিতে মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়ে ঘাসফুল শিবির সোচ্চার হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদি গোয়ায় তৃণমূলের সরকার আসে, তাহলে সরকার গঠনের ২৫০ দিনের মধ্যেই ভূমিহীনদের জমি পাইয়ে দিতে গোয়ার মুন্ডকার (ভাড়াতে) অ্যাক্টে সংস্কার আনার পথে তৃণমূল হাঁটবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এরফলে গোয়াতে যাঁরা ১৯৭৬ সাল থেকে বিভিন্ন বাড়িতে থেকেও তার মালিকানা পাননি, তাঁরা সুবিধা পাবেন। আর জমি বা বাড়ির অধিকার না দেওয়া গেলে, ন্যায্য ক্ষতিপূরণ যাতে দেওয়া যায়, তার চেষ্টাও তৃণমূলের সরকার করবে বলে প্রতিশ্রুতি এসেছে দলের তরফে।
উল্লেখ্য, গোয়ার ভোটযুদ্ধে তৃণমূলের সঙ্গে মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি। পার্টির তরফে প্রেসিডেন্ট দীপক ধাওয়ালিকর জানিয়েছেন, এই জমি আইন নিয়ে বহুদিন ধরেই পর পর সরকার অবহেলা করে গিয়েছে। তবে তৃণমূল জোটের সরকার যদি গোয়াতে আসে, তাহলে তা সম্ভবপর হবে। উল্লেখ্য, গোয়ার বুকে ভোট অ্যাজেন্ডা নিয়ে এই জমি সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতির আগেও আরও দুটি প্রতিশ্রুতি ঘাসফুল শিবির দিয়েছে। এই প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে সেখানে মহিলাদের গৃহলক্ষ্মী প্রকল্পে প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে দেবে সরকার, যদি গোয়াবাসী সরকার হিসাবে তৃণমূল জোটকে বেছে নেয়। এছাড়াও যুবশক্তি প্রকল্পের আওতায় যুবকদের ব্যবসা চালু করার জন্য সহজ কিস্তিতে ঋণ দেওয়ার বার্তা দিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। এদিকে, গোয়ার মহারণে , বিজেপির বিরোধী শিবিরের তৃণমূল ছাড়াও রয়েছে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির মতো দল। সেই জায়গা থেকে এখানের ৪০ আসনের বিধানসভা ভোটে ভোট-গণিত কোনদিকে যেতে থাকে সেদিকে নজর রয়েছে ওয়াকিবহাল মহলের।