বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে জাতীয় ময়দানে কংগ্রেসের সঙ্গেই বহু সময়ে উঠে এসেছে তৃণমূলের নাম। বাংলার সীমানা পেরিয়ে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের রণাঙ্গনে অবতীর্ণ হচ্ছে। প্রথমের দিকে জল্পনা ছিল যে, এই দুই দল গোয়ায় জোট বেঁধে বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসাবে পদ্ম শিবিরে বড় আঘাত হানতে পারে। তবে সেই জল্পনা চূর্ণ করে এদিন কংগ্রেস ও তৃণমূল আলাদা আলাদা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিল গোয়া বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে। যে প্রার্থী তালিকায় গোয়ার রাজনৈতিক আঙিনায় নতুন সমীকরণকে উপস্থিত করছে।
কংগ্রেসক নেতা কনহাইয়া কুমার গোয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে তাঁর প্রচার মঞ্চ থেকে সরাসরি তোপ দাগে তৃণমূল ও আপকে। তিনি বলেছিলেন, গোয়ায় বিজেপিকা হারাতে যখন কংগ্রেস তৈরি তখনই সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ছে তৃণমূল ও আপ। এক্ষেত্রে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওঠার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেও দুই দলকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি কংগ্রেসের তরুণ তুর্কী। কার্যত তখন থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, গোয়ায় বিজেপি বিরেধী শক্তি হিসাবে আপ, কংগ্রেস আর তৃণমূল সম্ভবত এক ছাদের তলায় আসবে না। ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নয় জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে, তৃণমূল তাদের ১১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। আম আদনি পার্টি ৫ জনের নাম ঘোষণা করেছে। পদ্ম শিবির থেকে গোয়া কংগ্রেসে আসা প্রমোদ সাওয়ান্তকে নিয়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে হাত শিবির। তাঁকে দেওয়া হয়েছে কালাগুট আসন যেখানে তিনি ২০১২ সাল থেকে জয়ী হয়ে আসছেন। কংগ্রেসের টিকিটে লড়বেন, প্রসাদ গাঁওকার, এমজিপি ও তৃণমূল ছেড়ে আসা বিধায়ক লাভু মামলেদারের মতো নেতারা।
এদিকে, তৃণমূলের তালিকায় জায়গা করেছেন, গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সৈকত নগরীর হেভিওয়েট চার্চিল আলেমাও। তিনি বেনাউলিম থেকে ভোটে দাঁড়াবেন। এছাড়াও গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুজিনহো ফেলেরিও পেয়েছেন তৃণমূলের টিকিট। বর্তমানে তিনি রাজ্যসভার সাংসদ। এছাড়াও আলেমাও কন্যা ভালাঙ্কা দাঁড়াচ্ছেন নভেলিম থেকে। তৃণমূলের বাকি হেভিওয়েটদের মধ্যে রয়েছেন, সুদীপ ভাজারকার, কিরণ কান্দোলকার, সামিল ভোভোইকার,গণপত গাঁওকাররা। ঘাসফুল শিবির জানিয়েছে গোয়ায় রাজ্য কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে দল। যে কমিটির শীর্ষে থাকছেন কিরণ কান্দোলকার। উল্লেখ্য, গোয়ার মাটিতে নির্বাচনে এর আগে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রশ্নে তৃণমূলের ইঙ্গিতবহ বার্তা থাকলেও, কংগ্রেস তা কার্যত নস্যাৎ করে দেয়। এরপর দুই পার্টি নিজেদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতেই গোটা বিষয়টি আরও একবার স্পষ্ট হয়। এদিকে, আম আদমি পার্টির প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন নোনু নায়েক, লিঙ্কন ভাজ, গ্যাবরিয়েল ফার্নান্ডেজের মতো ডাক সাইটে নেতারা।