গত ১০ মার্চ ফল প্রকাশের পর ৯ দিন পার। তাও গোয়ায় বিজেপির সরকার গঠনের চিত্রটা এখনও স্পষ্ট নয়। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন কি না, তাও স্পষ্ট নয় এখনও। এই আবহে এবার গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দিতে ছাড়ল না কংগ্রেস। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপির মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এই আবহে সাংবিধানিক অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে রাজ্যে।
কংগ্রেসের ১o জন বিধায়ককে পাশে বসিয়ে দিগম্বর কামাত (কংগ্রেস বিধায়ক) শুক্রবার বলেন, ‘ফলাফলের দিন বিজেপি নেতৃত্ব ঘোষণা করেছিল যে তারা নির্দল এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে চলেছে। ফলাফল ঘোষণার এক সপ্তাহ পরেও বিজেপি সরকার গঠনের দাবি করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব শুধু সময় কিনছে, এক বা অন্য অজুহাত দিচ্ছে এবং সরকার গঠনের বিষয়ে স্পষ্ট ছবি দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে বিজেপিতে ‘সব ঠিকঠাক নেই’, আর তাই গোয়ার জনগণ রাজ্য শাসন করার জন্য সরকার থেকে বঞ্চিত। আমরা বিজেপির দুরভিসন্ধিমূলক কৌশলের নিন্দা জানাই। তা গোয়ার জনগণকে একটি পূর্ণাঙ্গ সরকার গঠন থেকে বঞ্চিত করছে। বিজেপি সরকারের এই কাজটি গোয়ার জনগণের উপর একটি চরম অবিচার। গোয়ার মানুষ একটি সরকারের প্রত্যাশায় তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে বিপুল সংখ্যায় বেরিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু এখন তাঁরা বঞ্চিত।’
এদিকে কংগ্রেসের অপর এক বিধায়ক কার্লোস আলভারেস এই বিষয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘একজন তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী কয়েক সপ্তাহ ধরে সরকার চালাতে পারেন না। তাঁকে বিধানসভার ফ্লোরে তাঁর সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। বিজেপির এখন সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই।’ এদিকে কংগ্রেসের এই আক্রমণের জবাবে বিজেপি বিধায়ক গোবিন্দ গৌড়ে বলেন, ‘সরকার গঠন নিয়ে কথা বলার অধিকার কংগ্রেসের নেই। গোয়ার মানুষ জানে বিজেপি সরকার গঠন করবে। শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি।’