গোয়ায় তৃণমূল ও কংগ্রেসের জোট জল্পনা ক্রমেই বাড়ছে। যদিও কংগ্রেসের আচরণে খুশি নয় ঘাসফুল শিবির। বেশ কয়েকদিন ধরেই গোয়ায় তৃণমূল নেতাদের গলায় শোনা যাচ্ছে ‘বৃহত্তর জোটের’ ডাক। কংগ্রেসও জোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়নি। আর এরই মাঝে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার জোট জল্পনা আরও উস্কে দিয়ে দাবি করেছেন যে কংগ্রেস ও তৃণমূলের সঙ্গে গোয়ায় জোট গড়া নিয়ে আলোচনা চলছে। এই আবহে এবার তৃণমূলের তরফে সুস্মিতা দেব বললেন, ‘গোয়ায় বিজেপিকে হারাতে বিরোধীদের একজোট করার পক্ষে তৃণমূল। তবে কেউ যদি দাদার মতো আচরণ করতে থাকে তাহলে জোট সম্ভব নয়।’
উল্লেখ্য, এর আগে কংগ্রেসের তরফে চিদম্বরম কংগ্রেস-তৃণমূল জোট প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘কেউ যদি কংগ্রেসকে সমর্থন করতে চায়, তাহলে আমাদের আপত্তি নেই।’ বার্তাটা সাফ, তৃণমূলকে গোয়ায় নিজেদের সমকক্ষ হিসেবে দেখছে না কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে গোয়ায় তৃণমূলের সহ-পরিদর্শক কংগ্রেসকে তোপ দেগে অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি বিরোধী ভোট কাটার নেপথ্যে রয়েছে কংগ্রেস। রাজ্যসভার সাংসদ আরও দাবি করেন, গোয়ায় বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেস কতটা সক্ষম হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে ভোটারদের মনে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে সুস্মিতা বলেন, ‘আজ অবধি কংগ্রেস গোয়ার মানুষকে বোঝাতে পারেনি যে তারা বিজেপিকে কীভাবে হারাবে। আমরা যখন মাঠে নেমেছিলাম তখন এক অর্থে একটা শূন্যতা ছিল। জনগণ বিজেপিকে চায়নি এবং তারা কংগ্রেস সম্পর্কে সন্দিহান ও হতাশ ছিল।’
এর আগে মহুয়া মৈত্র বিরোধী ঐক্যের কথা বলে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট জল্পনা উস্কে দিয়েছিলেন। তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সুস্মিতা বলেন, ‘নিশ্চিত ভাবে বিরোধী ঐক্যের বিশাল যোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু...আপনি যখন কারো সাথে জোট গড়েন, সেই জোটের প্রকৃতি নির্ভর করে সেই দলের শক্তির ওপর। প্রশ্ন হল, কংগ্রেস হোক বা অন্য কোনও দল, বিরোধী ঐক্যের জন্য যদি বৃহত্তর জোট করতে হয় তাহলে সেই দলকে তাদের শক্তি এবং দুর্বলতাগুলি উপলব্ধি করতে হবে। জাতীয় বা আঞ্চলিক, যে কোনও দল হোক, তারা বড় দাদার মনোভাব নিয়ে আসতে পারেন না।’