পরপর রোগী মৃত্যু ঘটছে গোয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে অভিযোগ উঠেছে অক্সিজেনের অভাবেই মৃত্যু হচ্ছে রোগীদের। গতকাল ২৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী অক্সিজেনের অভাবে প্রাণ হারান। এরপর আজও ভোর নাগাদ অক্সিজেনের প্রেসার কমে যাওয়ায় মৃত্যু ঘটে ১৫ জনের। এই পরিস্থিতিতে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য এক কমিটি গঠন করল গোয়া সরকার।
আইআইটি গোটার ডিরেক্টর ডঃ বিকে মিশ্রর নেতৃত্বাধীন এই কমিটি গত দুই দিনে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঘটে যাওয়া অন্তত ৪০ জনের মৃত্যুর তদন্ত করবে। কমিটিতে গোয়া মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ডিন ডঃ ভিএন জিন্দাল, নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব তারিক থমাসও রয়েছেন। তিনদিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই কমিটিকে।
এর আগে মঙ্গলবার হাসপাতালে ২৬ রোগীর মৃত্যু হয়। এরপর অভিযোগ ওঠে অক্সিজেনের অভাবেই এদের মৃত্যু হয়। এই বিষয়ে সেরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'হাসপাতালে ১২০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের প্রয়োজন ছিল৷ কিন্তু সোমবার পর্যন্ত হাসপাতালটিতে সরবারহ করা হয় মাত্র ৪০০টি সিলিন্ডার৷ এই দুর্ঘটনার পিছনে হাসপাতালটির অব্যবস্থা নয়, সঠিক সময়ে অক্সিজেন না পেয়েই মৃত্যু হয়েছে করোনা রোগীদের৷'
যদিও গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত দাবি করেন, সঠিক সময়ে রোগীরা অক্সিজেন পায়নি৷ এটা ঠিক৷ কিন্তু হাসপাতালটিতে সঠিক সময়ে অক্সিজেনের সিলিন্ডারগুলি পৌছায়নি৷ এর জন্য তিনি সরাসরি দায়ী করেছেন হাসপাতালটির অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থা স্কুপ ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেডকে৷