বঙ্গ ভোটে যখন আদি ও নব্যের দ্বন্দ্ব মেটাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে গেরুয়া শিবির, তখন গোয়ায় পানাজিতে পুরভোটে এই ফর্মুলায় বিজেপির জয়জয়কার।পানাজি পুরনিগমে ৩০টি আসনের মধ্যে ২৫টিতেই জয় পেল গেরুয়া শিবির।আদি ও নব্যের মধ্যে বালেন্সের খেলায় জয় পেল পদ্ম শিবির।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ৯ জন কংগ্রেস প্রতিনিধিকে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অ্যাটেনাসিও মনসারেট। মনসারেটের যোগদানের পরই বিজেপির অন্দরে সমীকরণ পাল্টে যায়। কিন্তু গোয়া বিজেপি পুরনো ও নতুন বিজেপিতে আসা নেতা–কর্মীদের মধ্যে সামঞ্জস্য ঘটিয়ে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে সক্ষম হয়্। হাতে নাতে তার প্রমাণও মেলে।যদিও গোয়াতে পুরনিগমের ভোট দলীয় প্রতীকে হয় না, তবু যেভাবে শাসক বিজেপির তৈরি করে দেওয়া প্যানেল যেভাবে জিতল, তা সত্যিই উল্লেখযোগ্য।
একসময়ে প্রাক্তন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিক্করের সঙ্গে সমান সমানে টক্কর চলত তখন কংগ্রেসে থাকা পানাজির পার্শ্ববর্তী তেলেইগাঁও কেন্দ্রের বিধায়ক মনসারেটের। দুজনের দেওয়া প্যানেলের লড়াইয়ে জমে উঠত পুরনিগমের প্যানেল নির্বাচন। উল্লেখ্য, পানাজি পুরনিগমের কিছুটা অংশ এই তেলেইগাঁওয়ের মধ্যে পড়ে।
এবারে বিজেপিতে যোগদানের পর মনসেরাটকেই প্যানেল বাছার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাতে অবশ্য বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ দানা বাধে। মনোহর পারিক্করের ছেলে উপল পারিক্কর ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ সিদ্ধার্থ কণানিয়েনকার অসন্তোষ প্রকাশ করেন।বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ দেখা দিলেও আদি ও নব্যের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে শেষমেষ বাজিমাত করল বিজেপি।উল্লেখ্য, এই প্যানেল নির্বাচনে কংগ্রেস ও আপ জোট করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
পানাজি ছাড়াও আরো ছটি কাউন্সিলে ভোট হয়। তার মধ্যে বিজেপি জেতেছে বালপোই, ক্যানাকোনা ও কুরচোরেম-কাকোরায়। অন্যদিকে পেরনেম জয়ের দাবি করেছে শাসক-বিরোধী উভয়। কংগ্রেসের সমর্থিত প্যানেল জিতেছে দক্ষিণ গোয়ার কুনকলিমে।
মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত বলেন যে কুনকলিম ছাড়া সব জায়গাতেই বিজেপির প্যানেল জিতেছে। কুনকলিমেও যাতে বিজেপি এগিয়ে যায় তার চেষ্টা হবে বলে তিনি জানান। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থিত এক প্রার্থী উপনির্বাচনে হারায় কিছুটা মুখ পুড়েছে তার।
তবে বিরোধী দলনেতা দিগম্বর কামাতের দাবি এটা বিজেপির শেষের শুরু গোয়ায়। একমাত্র পানাজি ও বালপোই ছাড়া বিজেপি অন্য কোনও জায়গায় ভালো ফল করতে পারেনি বলেই তিনি দাবি করেন।