মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের প্রাক্কালে গোয়ায় কংগ্রেস বড় ধাক্কা খেল। গোয়া বিধানসভার স্পিকার রমেশ তাওয়াদকার বিজেপিতে যোগ দেওয়া ৮ কংগ্রেস বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণার আবেদন খারিজ করলেন। ২০২২ সালে এই কংগ্রেস বিধায়করা যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। স্পিকারের এমন নির্দেশে স্বাভাবিকভাবে অস্বস্তি বাড়ল গোয়া কংগ্রেসের।
আরও পড়ুন: তীব্র ডামাডোল গোয়া কংগ্রেসের অন্দরে! BJP-তে যোগ দেবেন ৫ Congress বিধায়ক?
কংগ্রেসের দাবি ছিল, এই বিধায়করা স্বেচ্ছায় দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। তাই সংবিধানের ১৯১ অনুচ্ছেদ ও ১০ তম তফসিলের ৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাঁদের অযোগ্য ঘোষণা করা উচিত। এই বিধায়করা কংগ্রেসের টিকিটে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতেছিলেন। গোয়া কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান গিরিশ চোডানকর তাঁর আবেদনে বলেছিলেন, ওই বিধায়করা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য হিসাবে যথাযথভাবে নির্বাচিত হয়েছিল এবং তাঁরা এখন ভারতীয় জনতা পার্টির সাথে যুক্ত। আইনজীবী অভিজিৎ গোসাভির মাধ্যমে এই আবেদন দায়ের করা হয়। তাতে কংগ্রেসের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, রাজ্য বিধানসভায় দলের নির্দেশ উপেক্ষা করে কেউ বিরুদ্ধে ভোট দিলে তাহলে দশম তফসিল অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায় । তাছাড়া নির্দল সাংসদ বা বিধায়করা নির্বাচনের পরে কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে তাঁদের সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায়।
৮ বিধায়কের আইনজীবী পরাগ রাও বলেছেন, স্পিকার ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রেকর্ড করেছেন যে ৮ জন বিধায়ক দলকে বিজেপিতে মিশে যাওয়ার একটি প্রস্তাব পাশ করেছেন। পিটিশনে কংগ্রেসের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, যে এই ক্ষেত্রে সেটা বৈধ ছিল না। উল্লেখ্য, এই আটজন বিধায়ক হলেন,দিগম্বর কামাত, অ্যালেক্সো সিকুইরা, সংকল্প আমনকার, মাইকেল লোবো, ডেলিলা লোবো, কেদার নায়েক, রুডলফ ফার্নান্দেস এবং রাজেশ ফালদেসাইয়ের
স্পিকার বলেছেন, আসল রাজনৈতিক দল যদি অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিশে যায় তাহলে অযোগ্যতা প্রযোজ্য হবে না। রাও বলেছেন, যে বিজেপি এই একত্রীকরণ মেনে নিয়েছে। কারণ রাজ্য সরকারের কিছু বিধায়ককে মন্ত্রী করেছে। স্পিকার কংগ্রেসের আবেদন প্রত্যাখ্যান করার সময় রায় দেন, নির্বাচিত সদস্যের মূল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অন্য রাজনৈতিক দলের একীভূত হওয়ার পরে নির্বাচিত সদস্য যে কোনও ক্ষেত্রেই অযোগ্যতার মুখোমুখি হবেন না। স্পিকার মনে করেন না, যে দলত্যাগের কারণে অযোগ্যতা প্রযোজ্য হবে।