দিল্লি-সহ দেশের বেশ কিছু শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। আর তারই সঙ্গে হঠাত্ বাড়ছে ছাগলের দুধের চাহিদা। অবস্থা এমনই যে, লিটার প্রতি ৪০০-৮০০ টাকা দরেও ছাগলের দুধ কিনছেন অনেকে। অনেক কোম্পানি আবার এই সুযোগে বড় ব্যবসা খুলে বসেছে। আমাজনে অনলাইনে ছাগলের দুধ বিক্রি করছে। কিন্তু ডেঙ্গুর সঙ্গে ছাগলের দুধের চাহিদা বাড়ার কী সম্পর্ক?
আমজনতার একাংশের বিশ্বাস, ছাগলের দুধ তুলনামূলকভাবে বেশি পুষ্টিকর। সহজপাচ্যও বটে। তাই এটি পান করলে খুব দ্রুত প্লেটলেট বাড়ে। ডেঙ্গু রোগীদের পথ্য হিসাবে এই দুধ খাওয়ানো হয়। তবে, চিকিত্সকরা এটি ভুল বলে জানাচ্ছেন। আরও পড়ুন: Dengue: ভয়াবহ ডেঙ্গি, চিকিৎসকের টিম পাঠান, কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর
ব্র্যান্ডেড কোম্পানির দামি দুধ। তবে তা গোরু-মোষের নয়। ছাগলের। কিছু ক্ষেত্রে ছাগলের দুধ মিল্ক পাউডারের আকারে বিক্রি হচ্ছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে তরল আকারে।
এমনই একটি সংস্থা হাই ফুডস। কোম্পানির দাবি, তাদের ছাগলের দুধের পাউডার ১০০% খাঁটি এবং প্রাকৃতিক। সম্পূর্ণ তাজা এবং নৈতিকভাবে সংগ্রহ করা দুধ থেকে এই পাউডার বানানো হয়। এক গ্লাস গরম জলে মাত্র ২ টেবিল চামচ হাই গোট মিল্ক পাউডার গুলে নিলেই হবে।
সংস্থার দাবি, ছাগলের দুধে প্রাকৃতিকভাবেই প্রিবায়োটিক থাকে। এটি সহজপাচ্য। সংস্থার মতে, 'ছাগলের দুধে প্রচুর পরিমাণে সেলেনিয়াম থাকে, যা রক্তের প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে।'
পাউডার আকারে ছাগলের দুধের দাম ১২৮ টাকা। পাবন মাত্র ৫০০ গ্রাম। এ ছাড়া অ্যাডভিকের ফ্রোজেন দুধও পাওয়া যায়। আধ লিটার ছাগলের দুধের দাম ৩৫০ টাকা। আরও পড়ুন: Dengue in West Bengal: রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব
কিন্তু সত্যিই কি ছাগলের দুধে ডেঙ্গুর উপশম হবে?
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ছাগলের দুধ যে অত্যন্ত পুষ্টিকর, তাই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে এটি পান করলেই ডেঙ্গু থেকে দ্রুত মুক্তি মিলবে। কেউ যদি এত দাম দিয়ে ছাগলের দুধ কিনতে না পারেন, সাধারণ দুধ পান করাই যথেষ্ট। সর্বোপরি ভিটামিন, প্রোটিন, উপকারি ফ্যাট সমৃদ্ধ ব্যালেন্সড খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে তবেই ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হবেন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ৩ নভেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪২৮। ২০১৯ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ৩২১৯জন। উত্তর ২৪ পরগনায় এই আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯৯৩জন। কলকাতার স্থান দ্বিতীয়। হাওড়া রয়েছে তৃতীয় স্থানে।