রাতারাতি বাজার চাঙ্গা হওয়ার জেরে বুধবার ভারতে আরও চড়া হল সোনার দাম। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর পিছনে রয়েছে আমেরিকায় আরও উদার অর্থনীতি চালু হওয়ার সম্ভাবনা।
এ দিন এমসিএক্স সূচকে ০.২৬% বৃদ্ধির জেরে সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রাম হিসেবে পৌঁছেছে ৪৯,৫৭১ টাকায়। রুপোও সূচকে ০.৬% উত্থানের জেরে প্রতি কেজি হিসেবে দাম দাঁড়িয়েছে ৬৫,২৩০ টাকা।
মঙ্গলবার সূচকে ১.১% বৃদ্ধির ফলে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম বেড়েছিল ৫৩০ টাকা এবং সূচকে প্রতি কেজি রুপোর দাম বেড়েছিল ২%।
আন্তর্জাতিক বাজারে এ দিন সোনার দামে খুব বড়সড় পরিবর্তন দেখা যায়নি। স্পট গোল্ড সূচকে ০.১% পতনের ফলে প্রতি আউন্স সোনার দাম যাচ্ছে ১,৮৫২.০১ ডলার। গতকাল এই দাম বেড়েছিল ১.৪%। পাশাপাশি, এ দিন সূচকে ০.১% দাম কমেছে রুপোরও। এর জেরে প্রতি আউন্স রুপোর দাম যাচ্ছে ২৪.৪৬ ডলার।
ভারতীয় বাজারে দিন সোনার দাম বাড়লেও ইটিএফ সংক্রান্ত লেনদেন আদৌ চাঙ্গা হওয়ার ইঙ্গিত মেলেনি। মঙ্গলবার গোল্ড ইটিএফ-এ মজুদ সোনার পরিমান ০.১০% হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ১,১৭০.১৫ টন।
বাজার পরিদর্শকদের মতে, সোনার দামে উত্থানের আর এক গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল, সাম্প্রতিক কালে ডলারের দামে উল্লেখযোগ্য হারে পতন। মার্কিন অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং উদার নীতির অভাব বিনিয়োগকারীদের আস্থায় চিড় ধরিয়েছে। এরই জেরে কোভিড অতিমারীজনিত সংকটকালে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে সোনায় লগ্নির প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ছাড়া, ব্রেক্সিট সংক্রান্ত প্রভাবের জেরে বেশ কিছু দেশে বিভিন্ন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ হওয়ার নেতিবাচক প্রভাবও দেখা দিয়েছে, যার ফলস্বরূপ সোনার দামে সাম্প্রতিক উত্থান দেখা দিয়েছে।
কোটাক সিকিউরিটিজ-এর তরফেও পূর্বাভাস করা হয়েছে, ‘একাধিক কারণে সম্প্রতি সোনার দামে উত্থান-পতন দেখা দিয়েছে। এই প্রবণতা বজায় থাকবে যত ক্ষণ পর্যন্ত না ইটিএফ-এ সোনা কেনার হার বৃদ্ধি পাবে এবং উদার অর্থনীতির ইঙ্গিত দেখা দেবে।’