বুধবার ভারতের বাজারে সোনা ও রুপোর দাম বাড়ল। এ দিন এমসিএক্স সূচকে ০.৭৪% উত্থানের জেরে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম যাচ্ছে ৪৯,৪১০ টাকা। সূচকে ০.৫৭% বৃদ্ধির ফলে প্রতি কেজি রুপোর দাম যাচ্ছে ৬৬,২৭৯ টাকা।
মঙ্গলবার দিনের শেষে সূচকে সোনার দাম পড়েছিল ০.৫৩%। ২০২০ সালে ২৫% বৃদ্ধির পরে নতুন বছরের শুরু থেকে মার্কিন ডলারের দাম চাঙ্গা থাকায় এবং আমেরিকায় সরকারি বন্ডে সুদের হার বৃদ্ধি পাওয়ার প্রভাবে সোনার দামে নিম্নগতি দেখা গিয়েছে।
জিওজিৎ ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিসেস-এর রিসার্চ হেডকমোডিটিস হরিশ ভি জানিয়েছেন, ‘মার্কিন ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং আমেরিকায় কোভিড পরিস্থিতিতে রুগ্ন অর্থনীতি চাঙ্গাকরার জন্য উদার অর্থনীতি চালুর সম্ভাবনার কারণে সোনার দামে দোলাচল বহাল রয়েছে। পাশ্চাত্যের একাধিক দেশে কোভিড সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় সংকটকালে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে সোনায় বিনিয়োগের প্রবণতা বাড়তে পারে। যদি সোনার দাম প্রতি আউন্সে ১,৮০০ ডলারের নীচে না নামে, সে ক্ষেত্রে কিছু দিনের মধ্যে দর বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে। তবে দাম পড়লে তা ১,৭৮০ ডলারের নীচে নামলে ঝুঁকি থেকে যেতে পারে।’
বুধবার আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট গোল্ড সূচকে ০.১% উত্থানের ফলে সোনার দাম প্রতি আউন্স যাচ্ছে ১,৮৫৬.৮৬ ডলার। অন্যান্য মুদ্রা ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে ডলারের দাম দুর্বল থাকলে সোনা তুলনায় সস্তা পড়ে। আবার মার্কিন সরকারি বন্ডে সুদের হার কম থাকার প্রভাবে সোনার মতো সুদহীন লগ্নিতে বিনিয়োগের আগ্রহে ভাটা পড়ে। এই মুহূর্তে ডলারের দাম ০.১৪% নীচে যাচ্ছে।
এরই পাশাপাশি, আমেরিকায় সদ্য ক্ষমতায় আসতে চলা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হোয়াইট হাউসে অভিষেকের ঠিক আগে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কায় সোনায় বিনিয়োগের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এদিন রুপোর দাম অবশ্য আউন্সপ্রতি ২৫.৫৭ ডলারে অবিচল রয়েছে।
কোটাক সিকিউরিটিজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘কোভিড ভ্যাক্সিন বাজারে আত্মপ্রকাশের পরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া চালু হওয়া সোনার দাম বৃদ্ধির পথে সাময়িক বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি হওয়ায়, ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায়, মার্কিন সরকারি বন্ডে সুদের হার চাঙ্গা থাকায় এবং উদার অর্থনৈতিক সংস্কারের আশায় আপাতত কিছু দিন সোনার দর ওঠানামা করতে পারে।’