সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারের ধারা বজায় রেখে ভারতে সোনার দামে বড়সড় পতন ঘটল। এ দিন এমসিএক্স সূচকে ০.১৪% পতনের জেরে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম যাচ্ছে ৪৮,৬৩৬ টাকা। এই নিয়ে পর পর তিন দিন সোনার দর কমল এবং আজ তা গত এক মাসের নিম্নতম দাম স্পর্শ করল।
পাশাপাশি, সূচকে ০.৩% পতনের ফলে রুপোর দাম এ দিন প্রতি কেজিতে যাচ্ছে ৬৪,৯৮৪ টাকা। গতকাল সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ৫০০ টাকা নেমেছিল এবং রুপোর দাম কেজিপ্রতি ১,৭০০ টাকা কমেছিল।
আমেরিকান ডলারের দাম চড়ার প্রভাবে এ দিন আন্তর্জাতিক বাজারেও সোনার দামে পতন দেখা দিয়েছে। স্পট গোল্ড সূচকে সোমবার ০.৫% পতনের ফলে প্রতি আউন্স সোনার দাম যাচ্ছে ১,৮১৯.৭৭ ডলার, গত সপ্তাহের থেকেও যা ১ শতাংশ বেশি।
এ দিন আন্তর্জাতিক সূচকে ০.৬% পতনেরজেরে প্রতি আউন্স রুপোর দাম যাচ্ছে ২৪.৫৭ ডলার।
২০২০ সালে প্রায় ২৫% বৃদ্ধির পরে চলতি বছরে বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল রেখে ভারতে সোনার দাম এখনও পর্যন্ত ৩% হ্রাস পেয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আমেরিকার রাজস্ব দফতরের ইস্যু করা বন্ডের সুদের হার বৃদ্ধি এবং ডলারের দরে উর্ধ্বগতি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির উদার আর্থিক সংস্কার নীতির প্রভাবে সোনার বাজার বিনিয়োগকারীদের নজর কাড়তে পারে।
শুক্রবার বিশ্বের বৃহত্তম ইটিএফ এসপিডিআর গোল্ড ট্রাস্টে ১.৪% বৃদ্ধির জেরে মোট হোল্ডিং দাঁড়ায় ১,১৭৭.৬৩ টন।
কোটাক সিকিউরিটিজ-এর বিবৃতি অনুযায়ী, ‘এখনও পর্যন্ত সোনার আন্তর্জাতিক দর আউন্সপ্রতি ১,৮০০ ডলারের উপর রয়েছে। তবে তা ১,৮৬০ প্রতি আউন্স দরের লক্ষ্যে এগোচ্ছে। সোনার দামে অনিশ্চয়তা আপাতত কিছু দিন বহাল থাকবে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে কোভিড সংক্রমণ গতি পাওয়ায় এবং আর্থিক সংস্কারের আশায় এখনই বড় মাপের বিনিয়োগে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।’
আরও বলা হয়েছে, ‘সোনার দাম উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি না পেলে রুপোর দরও বিশেষ উঠবে না। তবে লগ্নিকারীদের উৎসাহে এখনই ভাটা পড়ার লক্ষণ নেই।’
অন্য দিকে, ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল-এর মতে, চলতি বছরে ভারতে সোনার চাহিদা ফের বাড়তে দেখা যাবে। মনে করা হচ্ছে, এত দিন ধরে চাপা পড়া চাহিদা এবং কোভিড টিকাকরণ সূচিচালু হওয়ার পরে বিক্রির হার বৃদ্ধি পাবে।