বৃহস্পতিবার ভারতীয় বাজারে সোনার দাম ফের চড়ল। সেই সঙ্গে গতকালের ধারা অনুসরণ করে রুপোর দরও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ল।
এ দিন এমসিএক্স সূচকে ০.৩% উত্থানের জেরে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম যাচ্ছে ৪৯,৬৭৪ টাকা। এই নিয়ে টানা চার দিন সূচকে সোনার দামের পারদ চড়ল। পাশাপাশি, সূচকে রুপোর দর বেড়েছে ০.৮%, অর্থাৎ প্রতি কেজির দাম যাচ্ছে ৬৭,৫১৩ টাকা।
বুধবার দিনের শেষে সোনার দাম ১.২% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রুপোরদর বেড়েছে ১.৬%। আমেরিকার রাজস্ব বিভাগের ইস্যু করা বন্ডের সুদের হার বৃদ্ধি, ডলারের চাঙ্গা দর এবং কোভিড পরিস্থিতির জেরে রুগ্ন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে জো বাইডেন সরকারের সম্ভাব্য আর্থিক সংস্কার নীতির আশায় চলতি বছরে সোনার দামে প্রবল ওঠানামা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এ দিন আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দামে অবশ্য পতন দেখা দিয়েছে। গতকাল স্পট গোল্ড সূচকে ১.৭% বৃদ্ধির পরে এ দিন সোনার দর ০.২% উঠেছে, যার জেরে প্রতি আউন্স সোনারদাম যাচ্ছে ১,৮৬৮.৬৬ ডলার। সূচকে প্রতি আউন্স রুপোর দাম যাচ্ছে ২৫.৭৫ ডলার।
আমেরিকা ছাড়াও বিনিয়োগকারীদের নজর বর্তমানে রয়েছে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের সম্ভাব্য আর্থিক সংস্কারজনিত পরিকল্পনার উপরে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ দিন নিজেদের ‘ইজি মানি’ নীতি অপরিবর্তিত রাখলেও কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ স্তিমিত হওয়ার ফলে আরও কিছু আর্থিক সংস্কার নীতি ঘোষণা করতে পারে ইউরোপিয়ান ব্যাঙ্ক।
তবে মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন উদার সংস্কারের অবকাশে উৎসাহিত হলেও সদ্য ক্ষমতালব্ধ জো বাইডেন সরকারের কর বৃদ্ধি, মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ও আমেরিকা-চিন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত পদক্ষেপ নিয়ে অনিশ্চয়তা লগ্নিকারীদের আরও সাবধানী করে তুলেছে।
কোটাক সিকিউরিটিজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘গত কয়েক দিনে সোনার দরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। নতুন করে বড়সড় উত্থান না ঘটলে আপাতত সোনার বাজারে এই ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে উদার অর্থনৈতিক সংস্কারের সম্ভাবনা এবং সংক্রমণের আশঙ্কা বহাল থাকায় সাধারণ ক্রেতাদের আশার পারদ চড়ার দিকেই থাকবে।’