প্রাথমিকভাবে দাম বেড়েছিল। কিন্তু সেই উর্ধ্বগমন বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। গত সেশনে একধাক্কায় অনেকটা দাম কমার মঙ্গলবারও পড়ল সোনার দর। এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.১৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫০,৪০০ টাকা। বিশ্ব বাজারে রাতারাতি পতনের পর গত সেশনে সোনার দর ২.৪ শতাংশ বা ১,২০০ টাকা পড়েছিল।
সোনার মতোই গত সেশনে হুড়মুড়িয়ে পড়েছিল রুপোও। তখন প্রতি কেজি রুপোর দর ৬,৩০০ টাকা বা ৯.৩ শতাংশ কমেছিল। মঙ্গলবার সেই গ্রাফ আরও নিম্নমুখী হয়েছে। ১০ গ্রাম সিলভার ফিউচার্সের দাম ০.৫ শতাংশ কমে দাঁড়িযেছে ৬১,০১১ টাকা।
রোজকার সোনার দেখবেন? ক্লিক করুন এখানে
বিশ্ব বাজারে অবশ্য কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে হলুদ ধাতুর দর। গত সেশনে দর তিন শতাংশ কমে যাওয়ার পর মঙ্গলবার বিশ্ব বাজারে এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৯১৮.২ ডলার। পূর্ববর্তী সেশনে দর এতটাই কমে গিয়েছিল যে একমাসেরও বেশি পর সোনার দাম এত নীচে নেমেছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউরোপের অনেক অংশে নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধের জেরে উর্ধ্বমুখী হয়েছে সোনা। প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় পড়েছে ডলারের সূচক। অথচ সোমবার মার্কিন ডলার ছ'সপ্তাহে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল। রাজনৈতিক এবং আর্থিক অনিশ্চয়তার পরিস্থিতিতে সুরক্ষিত হিসেবে বিবেচিত হয় সোনা। চলতি বছরে সোনার দর ২৬ শতাংশ বেড়েছে।