মঙ্গলবারের ট্রেন্ড মেনেই বুধবারও ভারতের বাজারে সোনার দামে পতন দেখা দিল। এমসিএক্স সূচকে এ দিন ০.০৬% পতনের জেরে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম যাচ্ছে ৫০,০৫০ টাকা। গত চার দিনে এই নিয়ে তৃতীয় বার সোনার দাম কমল। সূচকে ০.০৮% পতনের ফলে এ দিন প্রতি কেজি রুপোর দাম যাচ্ছে ৬৬,৮২০ টাকা।
প্রতি ১০ গ্রামের হিসেবে ৪৮,০০০ টাকা থেকে উঠলেও গত অগস্ট মাসের রেকর্ড দর ৫৬,২০০ টাকার থেকে বেশ কিছু কম বেড়েছে সোনার দাম। রুপোও সেই সময় কেজিপ্রতি ৮০,০০০ টাকা হলেও তার পরে এই দরের ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি।
অন্য দিকে, এ দিন আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম চড়েছে। এর পিছনে অন্যতম প্রধান কারণ, কোভিড পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক ঘাটতি পোষাতে আমেরিকায় আশানুরূপ আর্থিক সংস্কার নীতি চালু হওয়ার সম্ভাবনা ফিকে হয়ে যাওয়া, যার ফলে বিনিয়োগের জন্য সোনাকেই নিরাপদ সম্পদ হিসেবে ভরসা করছেন বিনিয়োগকারীরা।
বুধবার স্পট গোল্ড সূচকে ০.২% উত্থানের ফলে প্রতি আউন্স সোনার দাম যাচ্ছে ১,৮৬৩.৮৩ ডলার। পাশাপাশি, ইউএস গোল্ড সূচকে ০.১% পতনের জেরে আউন্সপ্রতি সোনার দাম যাচ্ছে ১,৮৬৮.১০ ডলার। আবার সূচকে ১% উত্থানের ফলে প্রতি আউন্স রুপোর দাম যাচ্ছে ২৫.৩৮ ডলার।
বিশ্বজুড়ে কোভিড সংক্রমণের হার আচমকা বৃদ্ধি পাওয়া, বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের অতিসাবধানী অবস্থান এবং অর্থনৈতিক ঘাটতি পূরণে একাধিক দেশে নিষেধাজ্ঞার ফাঁস আঁটোসাঁটো হওয়ার জেরে সোনায় লগ্নির প্রবণতা বেড়েছে।
বাজার বিশেষজ্ঞদের দাবি, কোভিড ভ্যাক্সিন চালু হতে বিলম্ব দেখা দেওয়ার প্রভাবেও সোনার দাম আশানুরূপ বৃদ্ধিতে বাধা পাচ্ছে। কোটাক সিকিউরিটিজ-এর তরফে জানানো হয়েছে, ‘এমসিএক্স সূচকে বিনিয়োগের আগ্রহ ১১,৪৯২টি চুক্তি থেকে কমে ১১,৩৭১ এ নেমেছে। পতনের হার ১.১%। দাম বাড়া সত্ত্বেও নতুন লগ্নির অভাবে বৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে পড়েছে। মনে করা হচ্ছে, এমসিএক্স সূচকে চলতি সপ্তাহে আউন্সপ্রতি দাম থাকবে ১,৮৪০ থেকে ১,৯২০ ডলার। ভারতে প্রতি ১০ গ্রাম সোনা ৪৯,২০০ থেকে ৫১,১০০ টাকার মধ্যে থাকার কথা। দর পড়লে তবেই কেনার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’