একদিন উত্থানের পর আবারও ভারতীয় বাজারে দাম পড়ল সোনার। বহস্পতিবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম অক্টোবর গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.২২ শতাংশ কমে দাঁড়াল ৫১,৬৬৫ টাকা। পতনের সাক্ষী থাকল রুপোও। এক কেজি রুপোর দর এক শতাংশ কমে হল ৬৬,৮২১ টাকা।
গত সেশনে এক কেজি রুপোর দর অবশ্য ৩,৫০০ টাকা বেড়েছিল। আর টানা পাঁচদিনের নিম্নমুখী প্রবণতা কাটিয়ে ১০ গ্রাম হলুদ ধাতুর দাম উঠেছিল ৯০০ টাকা। কিন্তু বৃহস্পতিবার আবার পতনের ফলে গত এক সপ্তাহের মধ্যে ভারতীয় বাজারে ছ'দিন সোনার দাম কমল।
বিশ্ব বাজারে আবার অবিচল আছে সোনা। গত সেশনে অবশ্য দর অনেকটা বেড়েছিল। দুর্বল মার্কিন ডলারের মধ্যে এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম দাঁড়িয়েছে ১,৯৫২.১১ ডলার। আউন্স পিছু রুপোর দাম ০.৮ শতাংশ কমে হয়েছে ২৭.৩ ডলার।
বাজার পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, ডলার সূচক প্রায় ০.২ শতাংশ পড়েছে। যা প্রায় এক সপ্তাহে সর্বনিম্ন। তার জেরে অন্যান্য মুদ্রাধারীদের কাছে সস্তা হয়েছে সোনা। তারইমধ্যে দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া এবং একাধিক চিনা সংস্থার উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে ভূ-আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। যা সোনার দামকে সাহায্য করেছে।
বিষয়টি নিয়ে কোটাক সিকিউরিটিজের তরফে জানানো হয়েছে, মার্কিন কেন্দ্রীয় নীতি ঘোষণা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত সোনার অস্থিরতা জারি থাকতে পারে। তবে করোনাভাইরাস উদ্বেগ, বৃদ্ধির আশঙ্কা এবং মার্কিন-চিনা দ্বন্দ্বের মধ্যেও সোনা কেনার প্রবণতা বাড়তে পারে। তবে খুব বেশি পরিমাণ সোনা কেনার দিকে ক্রেতারা ঝুঁকবেন না বলেই মত সংস্থার।