নাগাড়ে কয়েক দিন উত্থানের পরে বুধবার দেশে সোনার দামে পতন দেখা দিল। একই সঙ্গে দাম পড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারেও।
এ দিন মাল্টি কমোডিটি কমপ্লেক্স (এমসিএক্স) সূচকে ০.৬৩% পতনের ফলে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম যাচ্ছে ৪৬,০৩০ টাকা। একই সঙ্গে ওই সূচকে ০.৫% দর পড়ায় রুপোর দাম প্রতি কেজি যাচ্ছে ৪৭,৫৪০ টাকা।
আন্তর্জাতিক বাজারে এ দিন স্পট গোল্ড সূচকে ০.১% পতনের ফলে প্রতি আউন্স সোনার দাম যাচ্ছে ১,৭১০.০১ ডলার। ইউএস গোল্ড ফিউচার্স-এও পতন হয়েছে ০.১% যার জেরে প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ১,৭০৩.২০ ডলার।
বিশ্ববাজারে গত দুই সপ্তাহের ধারা বজায় রেখে সোনার দামে প্রভাব ফেলেছে আমেরিকা-চিন কূটনৈতিক সংঘাত এবং হংকংয়ে চিনের প্রস্তাবিত আইনি কড়াকড়ি জারি করার ঘোষণা। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি দেশে অর্থনীতি সচল করার উদ্যোগ নেওয়ার পরে সোনায় বিনিয়োগের প্রবণতায় কিছুটা ভাটা দেখা দিয়েছে।
আমেরিকার ডেইলি এফএক্স সংস্থার মুদ্রা নীতি নির্ধারক ইলিয়া স্পিভাকের মতে, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় সসোনার দরের প্রেক্ষিতে আমরা যা দেখতে পেয়েছি, তা হল একাধিক অগ্রণী অর্থনীতি সচল করার উদ্যোগের প্রতিফলন। কিন্তু এর নেতিবাচক প্রভাব এখনও পুরোপুরি বাজারে প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি। বিশেষ করে আমেরিকা-চিন সম্পর্কের অবনতির জেরে ঝুঁকি বাড়ছে বিনিয়োগের বাজারে। সমস্যা বাড়ছে, অর্থনীতি সচলের খবর পেয়ে মানুষের মধ্যে গা-ছাড়া ভাব। অধিকাংশই বুঝতে পারছেন না, লকডাউন পরবর্তী অর্থনীতির চারিত্রিক বৈশিষ্ট পরিচিত পরিস্থিতির তুলনায় একেবারে ভিন্ন গোত্রের। সেই বাজারে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজন সুবিবেচিত বিনিয়োগ।’