নাগাড়ে নয় দিন দর উর্ধ্বমুখী থাকার পরে বৃহস্পতিবার এক ঝটকায় বেশ খানিকটা পড়ে গেল সোনার দাম। একই সঙ্গে উল্লেখজনক কমল রুপোর দামও।
এ দিন এমসিএক্স সূচকে ০.২% পতনের জেরে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ৫৩,০৬৫ টাকা। এর আগে নয় দিনে এই দর প্রায় ১১% ওঠার ফলে প্রতি ১০ গ্রামের দাম পৌঁছেছিল ৫৫,০০০ টাকায়।
পাশাপাশি, এ দিন সূচকে ২% পতনের ফলে প্রতি কেজি রুপোর দাম যাচ্ছে ৬৩,৯০৯ টাকা। গত কয়েক দিনে এই দাম প্রায় ০.৫% বৃদ্ধি পেয়েছিল।
আন্তর্জাতিক বাজারে এই নয় দিনে ক্রমাগত বৃদ্ধির পরে এ দিন বৃদ্ধির লক্ষণ দেখা যায়নি সোনার দামে। স্পট গোল্ড সূচকে ০.৩% পতনের জেরে প্রতি আউন্স সোনার দাম যাচ্ছে ১,৯৬৫.৯০ ডলার। চলতি সপ্তাহেই অবশ্য আউন্সপ্রতি ২,০০০ ডলার পৌঁছে রেকর্ড তৈরি করেছিল সোনা।
সোনার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই এ দিন সূচকে ০.২% পতন দেখা দিয়েছে রুপোর দামেও। ফলে প্রতি আউন্স রুপোর দাম যাচ্ছে ২৪.২৬১৪ ডলার।
চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত নিরাপদ সম্পদ হিসেবে সোনায় বিনিয়োগের ধারা অব্যাহত রয়েছে। তার জেরে গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০% চড়েছে সোনার দাম। বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ সংকট, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতিগুলির একাধিক আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা, সুদের হার হ্রাস পাওয়া এবং ডলারের দাম দুর্বল থাকার প্রভাবেও সোনার দাম উর্ধ্বগতি বহাল থেকেছে বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরও সুলভ অর্থনৈতিক ছাড়ের আশায় সোনার দামে ফের উত্থানের আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। গোল্ডম্যান স্যাকস-এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, কিছু দিনের মধ্যেই আউন্সপ্রতি ২,৩০০ ডলার দাম উঠতে চলেছে সোনার।
এই সব কিছুর জেরে সোনায় লগ্নির হার উল্লেখজনক হারে বাড়ছে গোটা বিশ্বে। যে কারণে এসপিডিআর গোল্ড ট্রাস্টের মতো বিশ্বের বৃহত্তম ইটিএফ-এ মজুত সোনার পরিমাণ প্রতিদিনই লাফিয়ে বেড়ে গত ৭ বছরের রেকর্ড চুরমার করে দিয়েছে।